প্রশ্ন-১. কোন বিজ্ঞানী জীবকোষ আবিষ্কার করেন?
উত্তর : রবার্ট হুক।
প্রশ্ন-২. নিউক্লিয়াসের কাজ কি?
উত্তর : কোষের যাবতীয় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করা।
প্রশ্ন-৩. রবার্ট হুক কোনদেশের বিজ্ঞানী ছিলেন?
উত্তর : ইংল্যান্ড।
প্রশ্ন-৪. কোনটি জীবের গঠন একক?
উত্তর : কোষ।
প্রশ্ন-৫. কোনটি এককোষী জীব?
উত্তর : অ্যামিবা।
প্রশ্ন-৬. কোন কোষ খালি চোখে দেখা যায়?
উত্তর : তন্তুকোষ।
প্রশ্ন-৭. কোন ধরনের প্লাস্টিড বর্ণহীন?
উত্তর : লিউকোপ্লাস্ট।
প্রশ্ন-৮. উদ্ভিদ কোষে গহ্বরকে ঘিরে যে অর্ধতরল থাকে তাকে কী বলে?
উত্তর : প্রোটোপ্লাজম।
প্রশ্ন-৯. সম্পূর্ণ প্রোটোপ্লাজমকে ঘিরে যে নরম পর্দা থাকে কী বলে?
উত্তর : কোষঝিল্লি।
প্রশ্ন-১০. বিজ্ঞানী রবার্ট হুক কত সালে কোষ আবিষ্কার করেন?
উত্তর : ১৬৬৫।
প্রশ্ন-১১. কোষকে প্রধানত কত শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর : ২।
প্রশ্ন-১২. সর্বপ্রথম কোষ আবিষ্কার করেন কে?
উত্তর : রবার্ট হুক।
প্রশ্ন-১৩. অ্যামিবা কী ধরনের জীব?
উত্তর : এককোষী।
প্রশ্ন-১৪. কোষপ্রাচীরের ছিদ্রকে কী বলে?
উত্তর : কূপ।
প্রশ্ন-১৫. প্রোটোপ্লাজম এর কয়টি অংশ?
উত্তর : ৪টি।
প্রশ্ন-১৬. ফুল রঙিন হওয়ার জন্য দায়ী কোনটি?
উত্তর : প্লাস্টিড।
প্রশ্ন-১৭. গোল আলুতে কোন প্লাস্টিড থাকে?
উত্তর : লিউকোপ্লাস্ট।
প্রশ্ন-১৮. জীবনের ভিত্তি বলা হয় কোনটিকে?
উত্তর : প্রোটোপ্লাজম।
প্রশ্ন-১৯. কোন কোষে কোষপ্রাচীর দেখা যায়?
উত্তর : উদ্ভিদ কোষ।
প্রশ্ন-২০. উদ্ভিদ কোষের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য কোনটি?
উত্তর : কোষগহ্বর।
প্রশ্ন-২১. ক্রোমাটিন তন্তু দেখতে কিরূপ?
উত্তর : সুতার ন্যায়।
প্রশ্ন-২২. কোষ প্রথম আবিষ্কার করেন কে?
উত্তর : কোষ প্রথম আবিষ্কার করেন ইংরেজ বিজ্ঞানী রবার্ট হুক।
প্রশ্ন-২৩. প্রোটোপ্লাজম কী?
উত্তর : কোষপ্রাচীরের অভ্যন্তরে পাতলা পর্দাবেষ্টিত জেলির ন্যায় থকথকে আধা তরল বস্তুটিই হচ্ছে প্রোটোপ্লাজম।
প্রশ্ন-২৪. কোষরস বা সেল ছ্যাপ কী?
উত্তর : কোষগহ্বরে যে রস থাকে তাই হচ্ছে কোষরস বা সেল ছ্যাপ।
প্রশ্ন-২৫. কেন্দ্রিকা রস কী?
উত্তর : কেন্দ্রিকায় অবস্থিত তরল ও স্বচ্ছ পদার্থটিই হচ্ছে কেন্দ্রিকা রস।
প্রশ্ন-২৬. নিউক্লিওলাস কি?
উত্তর : নিউক্লিয়াসের ভেতরে বিন্দুর ন্যায় অতিক্ষুদ্র যে অঙ্গাণুটি ক্রোমাটিন তন্তুর সঙ্গে লেগে থাকে সেটিই নিউক্লিওলাস।
প্রশ্ন-২৭. ক্রোমোজোম কী?
উত্তর : কেন্দ্রিকার ভেতরে সুতার ন্যায় কুন্ডলী পাকানো বা খোলা অবস্থায় যে অঙ্গাণুটি রয়েছে তাই ক্রোমোজোম।
প্রশ্ন-২৮. প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে ভাসমান গোলাকার ঘন বস্তুটিকে কী বলে?
উত্তর : প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে ভাসমান গোলাকার ঘন বস্তুটিকে নিউক্লিয়াস বলে।
প্রশ্ন-২৯. নিউক্লিয় আবরণীর প্রধান কাজ কী?
উত্তর : সাইটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয়াসের ভেতরের বস্তগুলোকে আলাদা করে রাখাই নিউক্লিয় আবারণীর মূল কাজ।
প্রশ্ন-৩০. কোষ ঝিল্লি কী?
উত্তর : সম্পূর্ণ প্রোটোপ্লাজমকে ঘিরে যে নরম পর্দা দেখা যায় তাকে কোষ ঝিল্লি বা সেল মেমব্রেন বলে।
প্রশ্ন-৩১. কলা বা টিস্যু কী?
উত্তর : অনেকগুলো কোষ যখন একত্রিত হয়ে একই ধরনের কাজ করে তখন তাকে কলা বা টিস্যু বলে।
প্রশ্ন-৩২. বর্ণাধার কি?
উত্তর : স্ট্রোমা ও গ্রানা সমৃদ্ধ এবং লিপো-প্রোটিন ঝিল্লি দ্বারা সীমিত সাইটোপ্লাজমের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্রাঙ্গই হলো প্লাস্টিড বা বর্ণাধার।
প্রশ্ন-৩৩. জনন কোষ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : যেসব কোষ জীবের প্রজননে অংশ নেয় তাদের জনন কোষ বলে। এরা জীবের দেহ গঠনে অংশগ্রহণ করে না। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু হলো জনন কোষ। এ দুধরনের জননকোষের মিলনের মাধ্যমে জীব তার বংশ বৃদ্ধি বা প্ৰজনন ঘটায়।
প্রশ্ন-৩৪. মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তির আধার বলা হয় কেন?
উত্তর : মাইটোকন্ড্রিয়া হচ্ছে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র। কারণ এই অঙ্গাণুর ভেতরে শক্তি উৎপাদনের প্রায় সকল বিক্রিয়া ঘটে থাকে। এরা দণ্ডাকার, বৃত্তাকার বা তারকাকার হতে পারে। এরা দুস্তর বিশিষ্ট ঝিল্লি দ্বারা আবৃত থাকে। বাইরের স্তর মসৃণ; কিন্তু ভেতরের স্তর ভাঁজযুক্ত। মাইটোকন্ড্রিয়ার প্রধান কাজ শ্বসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে শক্তি উৎপাদন করা। তাই মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তির আধার বলা হয়।
প্রশ্ন-৩৫. সেন্ট্রোসোম (Centrosome) বলতে কি বুঝ?
উত্তর : সেন্ট্রোসোম সাইটোপ্লাজমের একটি ক্ষুদ্র অঙ্গ। এর ভেতরের তরল পদার্থকে সেন্ট্রোস্ফিয়ার এবং ভেতরের দুটো গোলাকার বস্তুকে সেন্ট্রিওল বলে। কোষ বিভাজনে এরা সাহায্য করে। এটি প্রাণী কোষের একটি বৈশিষ্ট্য। নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদ কোষে কখনো কখনো এদের দেখা যায়।
প্রশ্ন-৩৬. ক্রোমাটিন তন্তুর কাজ লেখ।
উত্তর : ক্রোমাটিন তন্তুর কাজ হলো–
- জীবের বৈশিষ্ট্য বহন করে পরবর্তী প্রজন্মে নিয়ে যায়।
- কোষের বৃদ্ধি বা যেকোনো ক্রিয়া-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন-৩৭. প্লাস্টিডের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর : প্লাস্টিডের বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো–
i. শুধু উদ্ভিদ কোষে পাওয়া যায়।
ii. সবুজ রঙের প্লাস্টিড উদ্ভিদের খাদ্য তৈরি করে।
iii. পাতা, ফুল বা ফলের অর্থাৎ উদ্ভিদের বিভিন্ন রঙিন অঙ্গের রং ধারণ করে।
প্রশ্ন-৩৮. প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন?
উত্তর : প্রোটোপ্লাজম উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের সকল মৌলিক ও জৈবিক কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াসকে একত্রে প্রোটোপ্লাজম বলে। নিউক্লিয়াস কোষের প্রাণকেন্দ্র যা কোষের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। জীবনের অস্তিত্ব প্রকাশে সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস সমন্বিত প্রোটোপ্লাজম মূল কোষের প্রতিনিধিত্ব করে। এ জন্যই প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : দীপ্তি বাবার সাথে ঢাকায় বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে যায়। গার্ডেনে সে বিভিন্ন বর্ণের গাছপালা দেখতে পায়। পরবর্তীতে সে পার্শ্ববর্তী চিড়িয়াখানায় যায় সেখানে সে বিভিন্ন প্রাণী দেখতে পায়।
ক. নিউক্লিয়াস কী?
খ. কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র কোনটি? ব্যাখ্যা করো।
গ. দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদগুলো বিভিন্ন বর্ণ ধারণ কারণ কী? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. দীপ্তির দেখা জীবগুলোর কোষীয় বৈশিষ্ট্যের তুলনা করো।
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. জীব কোষের প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে ভাসমান গোলাকার ঘন বস্তু যা কোষের সকল শারীবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে তাই হলো নিউক্লিয়াস।
খ. কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। কোষের সকল জৈবিক কাজ পরিচালনার জন্য যে শক্তির প্রয়োজন হয় তা মাইটোকন্ড্রিয়াই সরবরাহ করে থাকে। এ কারণে মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয়।
গ. দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদগুলো বিভিন্ন বর্ণের ছিল। মূলত প্লাস্টিডের ভিন্নতাই উদ্ভিদে বর্ণ বিচিত্রতা দিয়ে থাকে। সবুজ বর্ণের প্লাস্টিডগুলোকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। যখন কোনো উদ্ভিদদেহে ক্লোরোপ্লাস্টের পরিমাণ বেশি থাকে তখন উদ্ভিদটিকে সবুজ দেখায়। সবুজ বর্ণ ব্যতীত অন্যান্য বর্ণ লাল, হলুদ, কমলা ইত্যাদি বিশিষ্ট প্লাস্টিডকে ক্রোমোপ্লাস্ট বলে। আবার যেসব প্লাস্টিড কোনো রং ধারণ করে না সেগুলো বর্ণহীন প্লাস্টিড, যাদেরকে লিউকোপ্লাস্ট বলে।
এগুলো সাধারণত মূলে থাকে। সুতরাং দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদ কোষে ক্লোরোপ্লাস্টের পরিমাণ বেশি ছিল বলে সেগুলো সবুজ ছিল। কিছু উদ্ভিদ কোষে ক্রোমোপ্লাস্টের পরিমাণ অধিক ছিল বলে উদ্ভিদগুলোকে লাল বা কমলা দেখাচ্ছিল। অর্থাৎ উদ্ভিদদেহে বিভিন্ন প্লাস্টিডের আধিক্যই উদ্ভিদগুলোর বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করার একমাত্র কারণ।
ঘ. দীপ্তি বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে বিভিন্ন বর্ণের উদ্ভিদ এবং চিড়িয়াখানায় গিয়ে বিভিন্ন প্রাণী দেখেছিল। নিচে দীপ্তির দেখা উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনা করা হলো—
i. উদ্ভিদকোষের বাইরে জড় কোষপ্রাচীর থাকে কিন্তু প্রাণিকোষে কোনো কোষপ্রাচীর থাকে না।
ii. উদ্ভিদকোষে প্লাস্টিড থাকে, যা প্রাণিকোষে থাকে না।
iii. উদ্ভিদকোষের কোষগহ্বর বেশ বড় কিন্তু প্রাণিকোষের কোষগহ্বর আকারে অত্যন্ত ছোট অথবা অনুপস্থিত।
iv. উদ্ভিদকোষে নিউক্লিয়াস পরিধির কাছে অবস্থান করে কিন্তু প্রাণিকোষে নিউক্লিয়াস কেন্দ্রে অবস্থান করে।
v. উদ্ভিদকোষের সঞ্চিত খাদ্য স্টার্চ এবং প্রাণিকোষের সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজেন।
vi. উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় কোষেই মসৃণ ও অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা থাকে৷
vii. উদ্ভিদকোষে সেন্ট্রোসোম অনুপস্থিত কিন্তু প্রাণিকোষে উপস্থিত৷
viii. উভয় কোষেই গলজি বস্তু উপস্থিত, তবে প্রাণিকোষে এর পরিমাণ বেশি এবং উদ্ভিদকোষে কম।