অধ্যায়-১৪ : জলবায়ু পরিবর্তন, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরটি প্রায় বায়ুশূন্য?

উত্তর : তাপমণ্ডল।

প্রশ্ন-২. বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর কোনটি?

উত্তর : ট্রপোমণ্ডল।

প্রশ্ন-৩. ট্রপোমণ্ডল ভূ-পৃষ্ঠ হতে কত কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত?

উত্তর : ১১ কি.মি.

প্রশ্ন-৪. পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে কোনটি?

উত্তর : পৃথিবীকে ঘিরে রয়েছে বায়ুমণ্ডল।

প্রশ্ন-৫. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ওজোন গ্যাস রয়েছে?

উত্তর : বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোমণ্ডল স্তরে ওজোন (O3) গ্যাস রয়েছে।

প্রশ্ন-৬. জলবায়ু কী?

উত্তর : কোনো স্থানের অনেক বছরের সামগ্রিক আবহাওয়া হলো জলবায়ু।

প্রশ্ন-৭. ট্রপোস্ফিয়ার কাকে বলে?

উত্তর : বায়ুমণ্ডলের প্রথম স্তরকে ট্রপোস্ফিয়ার বলে। এটি ভূপৃষ্ঠ হতে এগারো কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।

প্রশ্ন-৮. ভূ-গর্ভস্থ পানি কাকে বলে?

উত্তর : বৃষ্টির পানি চুইয়ে চুইয়ে মাটির নিচে গিয়ে সঞ্চিত হয়। এ পানিকে ভূ-গর্ভস্থ পানি বলে।

প্রশ্ন-৯. পানি চক্র কী?

উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় পানি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় চক্রাকারে চলাচল করে তাকে পানি চক্র বলে।

প্রশ্ন-১০. বায়ুমণ্ডলের স্তর কয়টি?

উত্তর : বায়ুমণ্ডলের স্তর চারটি।

প্রশ্ন-৯. বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ কী?

উত্তর : বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি।

প্রশ্ন-১০. বায়ুর প্রয়োজনীয় উপাদান কোনগুলো?

উত্তর : অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১১. বায়ু কোন দিকে প্রবাহিত হয়?

উত্তর : বায়ু উচ্চচাপের এলাকা থেকে নিম্নচাপের এলাকার দিকে প্রবাহিত হয়।

প্রশ্ন-১২. গ্রিন হাউস গ্যাস কোনগুলো?

উত্তর : কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৩. বায়ুমণ্ডল কী?

উত্তর : যে বায়বীয় অংশটি পৃথিবীর পৃষ্ঠকে ঘিরে রেখেছে সেটিই হলো বায়ুমণ্ডল।

প্রশ্ন-১৪. আবহাওয়া কী?

উত্তর : কোনো স্থানের বায়ুমণ্ডলের স্বল্প সময়ের তাপমাত্রা, চাপ, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা ইত্যাদি অবস্থা হলো আবহাওয়া।

প্রশ্ন-১৫. আবহাওয়ার প্রধান উপাদান কী?

উত্তর : আবহাওয়ার প্রধান উপাদানগুলো হচ্ছে বায়ুর তাপমাত্রা, চাপ, বায়ুর আর্দ্রতা বা বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ, মেঘ, কুয়াশা ও বৃষ্টিপাত।

প্রশ্ন-১৬. নিম্নচাপ কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন স্থানের তাপমাত্রা বেড়ে বায়ু উত্তপ্ত হয়ে উপরের দিকে উঠে যাওয়ায় সেখানকার বায়ুচাপ কমে যাওয়াকে নিম্নচাপ বলে।

প্রশ্ন-১৭. উচ্চচাপ কাকে বলে?

উত্তর : যে স্থানে তাপমাত্রা কম সেখানে বায়ু ঘন থাকে। এর ফলে বায়ুচাপ বেশি থাকে। বায়ুচাপ বেশি থাকাকে উচ্চচাপ বলে।

প্রশ্ন-১৮. প্রাকৃতিক পরিবেশ কী?

উত্তরঃ আমাদের চারপাশের সব জড় ও জীবকে নিয়ে যে পরিবেশ গড়ে ওঠে তাই প্রাকৃতিক পরিবেশ।

প্রশ্ন-১৯. ট্রপোমণ্ডল কী?

 

উত্তর : ট্রপোমণ্ডল হলো বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলই ট্রপোমণ্ডল।

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-২০. শীতপ্রধান দেশে গাছপালা কেন টিকে থাকতে পারে না?

উত্তর : শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীতে গাছপালা টিকে থাকতে পারে না।

প্রশ্ন-২১. শিলাবৃষ্টি কী?

উত্তর : মেঘের পানির কণাগুলো খুব বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তা বরফে পরিণত হয় এবং বরফ আকারে পৃথিবীতে নেমে আসে, একে শিলাবৃষ্টি বলে।

প্রশ্ন-২২. গ্রিনহাউস গ্যাস না থাকলে কী ঘটত?

উত্তর : গ্রিনহাউস গ্যাস না থাকলে পৃথিবী থেকে তাপ বিকিরিত হয়ে মহাশূন্যে চলে যেত। ফলে পৃথিবী ভীষণ ঠাণ্ডা হয়ে পড়ত।

প্রশ্ন-২৩. আবহাওয়া পরিবর্তনে মূল ভূমিকা রাখে কোনটি?

উত্তর : আবহাওয়া পরিবর্তনে মূল ভূমিকা রাখে সূর্যতাপ।

প্রশ্ন-২৪. আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তর : আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের আকাশ ও বায়ুমণ্ডলের সামগ্রিক অবস্থা। অপরদিকে জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার সামগ্রিক অবস্থা। আবহাওয়া অল্প সময়ের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন হতে অনেক বছর লেগে যায়।

প্রশ্ন-২৫. ট্রপোমণ্ডল কেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর : ভূপৃষ্ঠ থেকে এগারো কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলকে বলা হয় ট্রপোমণ্ডল। যেখানে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, জলীয় বাষ্প ও ধূলিকণা থাকে, যা উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ স্তরে মেঘ, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ, ঝড়, কুয়াশা এসব হয়। তাই ট্রপোমণ্ডল বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর।

প্রশ্ন-২৬. বৃষ্টি কীভাবে সংঘটিত হয়?

উত্তর : সূর্যের তাপে ভূ-পৃষ্ঠের অর্থাৎ পুকুর, খাল, বিল, নদী ও সমুদ্রের পানি জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়ে বায়ুমণ্ডলের উপরের দিকে উঠে ঠাণ্ডা হয়ে ক্ষুদ্র পানি কণায় পরিণত হয়। ক্ষুদ্র পানি কণা একত্র হয়ে মেঘের সৃষ্টি হয় এবং অনেকগুলো মেঘের পানি কণা একত্রিত হয়ে আকারে বড় হয়ে বৃষ্টিরূপে মাটিতে পড়ে।

প্রশ্ন-২৭. বায়ুমণ্ডলের বায়ুশূন্য স্তরটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের চারটি স্তর হলো ট্রপোমণ্ডল, স্ট্রোটোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল ও তাপমণ্ডল।

বায়ুমণ্ডলের বায়ুশূন্য স্তরটি হচ্ছে তাপমণ্ডল। মেসোমণ্ডলের শেষপ্রান্তের পর থেকে তাপমণ্ডল শুরু হয় এবং এই স্তরে বায়ুর তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ে বলে একে তাপমণ্ডল বলে। এই স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে।

প্রশ্ন-২৮. গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় কেন?

উত্তরঃ গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে সূর্য বাংলাদেশের উপর খাড়াভাবে কিরণ দেয়। এসময় বেশ গরম ও বায়ুচাপ কম থাকলেও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে কম গরম ও বায়ুচাপ বেশি থাকে। দক্ষিণের বায়ু তখন বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশের দিকে প্রবাহিত হয়ে প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে আসে। এই জলীয়বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে বৃষ্টি হয়। এজন্য গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে বায়ু আদ্র থাকে এবং প্রচুর বৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-২৯. বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের কী হতে পারে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের প্রধান উপায় হলো কার্বন ডাইঅক্সাইডের নিঃসরণ কমানো। এক্ষেত্রে কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। যেমন- সৌরশক্তি, বায়ুপ্রবাহ থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়াও যেহেতু গাছপালা কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।

প্রশ্ন-৩০. স্ট্রাটোমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলোর মধ্যে যে মণ্ডলটিতে ওজন গ্যাস রয়েছে তার নাম স্ট্রাটোমণ্ডল। ট্রপোমণ্ডলের ঠিক উপরেই শুরু হয় স্ট্রাটোমণ্ডল। এই স্তর ট্রপোমণ্ডল থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৩৯ কিলোমিটার বিস্তৃত। এই স্তরে থাকা ওজন গ্যাস সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই স্তর এবং উপরের দিকে বায়ুমণ্ডলের অন্যান্য গ্যাস খুব কম পরিমাণে থাকে। মেসোমণ্ডলের ঠিক আগেই স্ট্রাটোমণ্ডল শেষ হয়।

প্রশ্ন-৩১. বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলতে বোঝায় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়া। পৃথিবীর তাপমাত্রা এভাবে বৃদ্ধির ফলে পর্বতের চূড়ার ও মেরু অঞ্চলের জমাটবদ্ধ বরফ গলে যাচ্ছে। এই বরফ গলা পানি গড়িয়ে সমুদ্রে পড়ায় পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা দিন দিন বাড়তে থাকবে। ফলস্বরূপ বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলসহ পৃথিবীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যাবে। এছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিরূপ আবহাওয়া যেমন- খরা, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি ঘটনা বেশি বেশি ঘটবে।