৩ কিলােহার্জ হতে ৩০০ কিলােহার্জ ফ্রিকোয়েন্সির বেতার তরঙ্গকে রেডিও ওয়েব বলা হয়। রেডিও ওয়েভ এক ধরনের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন। রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে ব্যবহৃত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ডেটা ট্রান্সমিট করা হয় ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম ব্যবহার করে, যাকে বলা হয় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। এই যােগাযােগ ব্যবস্থায় সংকেত প্রেরণের গতিবেগ প্রায় ২৪ কিলােবিটস সেকেন্ড যা ১ মি.মি থেকে ১০০ কিলােমিটার এলাকায় বিস্তার লাভ করে।
রেডিও ওয়েবে প্রাপ্ত ফ্রিকোয়েন্সি সীমাকে কতকগুলাে চ্যানেল বা হােফস- এ বিভক্ত করা হয়। সিগনাল ট্রান্সমিশনের সময় এডাপ্টার নির্ধারিত ফিকোয়েন্সিতে টিউন করা থাকে। এরপর ভিন্ন আরেকটি ফ্রিকোয়েন্সিতে এডাপ্টার টিউন করা হয়। এভাবে নির্ধারিত চ্যানেলে ডেটা ট্রান্সমিশন হয় ফলে নেটওয়ার্কিং- এর ক্ষেত্রে প্রতিটি কম্পিউটার একই ফ্রিকোয়েন্সিতে সেট করা থাকে যাতে এগুলাে অন্য কম্পিউটার কর্তৃক পাঠানাে সিগনাল গ্রহণ করতে পারে। রেডিও ওয়েব সর্বদিকে প্রবাহিত হয় ফলে প্রেরক এবং গ্রাহক অ্যান্টেনাকে কোনাে নির্দিষ্ট দিকমুখী করার প্রয়ােজন হয় না৷ এজন্য সীমার মধ্যে যেকোনাে গ্রাহক যন্ত্র এই সংকেত গ্রহণ করতে পারে।
এতে অসুবিধা হলাে একই ফ্রিকুয়েন্সিতে একাধিক প্রেরক থাকলে তাদের মধ্যে ইন্টারফিয়ারেন্স (সংঘর্ষ) হয়। রেডিও ওয়েব অনেক দূর পর্যন্ত সংকেত নিয়ে যেতে পারে। আকাশে প্রতিফলনের মাধ্যমে পাঠানাে রেডিও ওয়েব দূরবর্তী স্থানে রেডিও সম্প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হয়। লাে ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও ওয়েভ দেয়াল ভেদ করে যেতে পারে। এতে সুবিধা হয় যে এ রেডিও বিল্ডিং- এর ভেতর বসে শােনা যায় কিন্তু অসুবিধা হলাে প্রয়ােজন পড়লে ভেতর ও বাইরের যােগাযােগ আলাদা করা সম্ভব হবে না।
রেডিও ওয়েভ দুই ধরণের হয়ে থাকে। যথা: নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়িন্ত্রিত। নিয়ন্ত্রিত রেডিও ওয়েভ সরকারে অনুমতি ছাড়া কেউ ব্যবহার করেতে পারে না। অপরদিকে অনিয়ন্ত্রিত রেডিও ওয়েভ সরকারের অনুমতি ছাড়া যে কেউ ব্যবহার করতে পারে। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের জন্য তিন ধরনের রেডিও ওয়েভ ট্রান্সমিশন ব্যবহৃত হয়। যথা:
১. লাে-পাওয়ার সিঙ্গেল ফ্রিকোয়েন্সি
২. হাই-পাওয়ার সিঙ্গেল ফ্রিকোয়েন্সি
৩. স্পেড স্পেকট্রাম।
রেডিও ওয়েভ এর বৈশিষ্ট্য
- রেডিও ওয়েভের ব্যান্ডউইথ 24 kbps।
- রেডিও ওয়েভের জন্য ট্রান্সমিটার, রিসিভার, এন্টেনা এবং উপযুক্ত টার্মিনাল যন্ত্রপাতি থাকতে হয়।