পরিসর হলো বিস্তার পরিমাপকের প্রথম এবং সবচেয়ে সহজ ও সরল পদ্ধতি। এটি খুব সহজভাবে নির্ণয় করা যায়। উপাত্তের সবচেয়ে বড় মান থেকে সবচেয়ে ছোট মানের ব্যবধানই হলো পরিসর।
মনে করি, ঢাকার শেয়ার বাজারে A কোম্পানি লিঃ এর কোনো নির্দিষ্ট মাসের সংগৃহীত শেয়ার তথ্যসারির সর্বোচ্চ বাজার দর ২০০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন বাজার দর ৬০০ টাকা। সুতরাং পরিসর R = (২০০০ – ৬০০) = ১৪০০ টাকা।
উদাহরণ : দ্বাদশ শ্রেণীর দশজন ছাত্রের গণিতে প্রাপ্ত নম্বর নিম্নরূপ হলে পরিসর নির্ণয় কর।
৩৫, ৪০, ৪৫, ৫০, ৬০, ৮০, ৮৫, ৭০, ৮০, ৬০
সমাধান : তথ্যসারির সর্বোচ্চ মান H = ৮৫ এবং সর্বনিম্ন মান L = ৩৫
সুতরাং পরিসর R = H – L = (৮৫ – ৩৫) = ৫০।
পরিসরের ব্যবহার
পরিসরের ব্যবহার নিচে তুলে ধরা হলো–
১. শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে এটি ব্যবহৃত হয়।
২. শেয়ার বাজারে মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি পরিমাপে এটি ব্যবহৃত হয়।
৩. আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানে ব্যবহৃত হয়।
৪. সুদের হার নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।