বর্তমানে যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা-ই হলাে পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি (Positional number system)। পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে অঙ্কের স্থানীয় মান থাকে। একটি সংখ্যার মান বের করার জন্য তিনটি ডেটা দরকার। পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে প্রতিটি সংখ্যাকে র্যাডিক্স পয়েন্ট (.) দিয়ে পূর্ণ সংখ্যা ও ভগ্নাংশ-এ দুই ভাবে প্রকাশ করা যায়। যেমন- 735.458 একটি সংখ্যা এর 735 পূর্ণ সংখ্যা এবং .458 ভগ্নাংশ।
চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বলতে কি বুঝ? ব্যাখ্যা দাও।
বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। সংখ্যাটি ধনাত্মক নাকি ঋণাত্মক তা বুঝানোর জন্য সাধারণত সংখ্যার পূর্বে চিহ্ন(+ অথবা -) ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ যখন কোন সংখ্যার পূর্বে ধনাত্মক বা ঋণাত্মক চিহ্ন থাকে তখন সেই সংখ্যাকে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বা সাইনড নম্বর বলা হয়। বাইনারি পদ্ধতিতে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বুঝানোর জন্য প্রকৃত মানের পূর্বে একটি অতিরিক্ত বিট যোগ করা হয়। এ অতিরিক্ত বিটকে চিহ্ন বিট বলে। চিহ্ন বিট 0 হলে সংখ্যাটি ধনাত্মক এবং চিহ্নবিট ১ হলে সংখ্যাটিকে ঋণাত্মক ধরা হয়।