সকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার কর্ম আছে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন– শিলা ভাত খায়, নীলা স্কুলে যায় ইত্যাদি।
অকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার কর্ম নেই, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন, সাবিনা পড়ে, নীলা ঘুমায় ইত্যাদি।
দ্বিকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার দুটি কর্মপদ থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। দ্বিকর্মক ক্রিয়ার একটি মুখ্য কর্ম ও একটি গৌণকর্ম থাকে। যেমন– মা আমাকে ১০টি টাকা দিয়েছে-এই বাক্যে ‘টাকা’ মুখ্যকর্ম এবং ‘আমাকে’ গৌণকর্ম।
প্রযোজক ক্রিয়া : কর্তার যে ক্রিয়া অন্যকে দিয়ে করানো বোঝায় তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে। যেমন– শিক্ষক ছাত্রকে অংক দেখাচ্ছেন।
সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়ার পার্থক্য
সকর্মক ক্রিয়া
- যে ক্রিয়ার কর্ম আছে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।
- ক্রিয়াকে ‘কি’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে ক্রিয়ার কর্মপদ পাওয়া যায়।
- সকর্মক ক্রিয়ার বাক্য সম্প্রসারিত হয়।
- কর্মপদযুক্ত বাক্য অর্থের ব্যাপ্তি ঘটাতে সক্ষম।
- বাবা আমাকে একটি ঘড়ি কিনে দিয়েছেন।
অকর্মক ক্রিয়া
- যে ক্রিয়ার কর্ম নেই, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে।
- ক্রিয়াকে ‘কি’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে ক্রিয়ার কর্মপদ পাওয়া যায় না।
- অকর্মক ক্রিয়ার বাক্য সংকুচিত হয়।
- কর্মপদহীন বাক্য অর্থের ব্যাপ্তি ঘটাতে অক্ষম৷
- সাজিদ যাচ্ছে।