যখন কোনো শব্দ অন্য একটি শব্দের সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে তাকে বিপরীতার্থক শব্দ বলে। যেমন– ‘আমদানি’ বললে যে অর্থ প্রকাশ করে, ‘রপ্তানি’ বললে তার বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে। তাই আমদানি শব্দের বিপরীত শব্দ হলো রপ্তানি। বিপরীতার্থক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মনোভাব প্রকাশ করা যায়। ভাষার সৌন্দর্য ও ভাব প্রকাশের বৈচিত্র্যের জন্য এ ধরনের শব্দের ব্যবহার হয়ে থাকে।
নিচে কয়েকটি বিপরীত শব্দ দেয়া হলোঃ
অর্পণ (মূল শব্দ) – গ্রহণ (বিপরীতার্থক শব্দ)
অনিচ্ছা (মূল শব্দ) – ইচ্ছা (বিপরীতার্থক শব্দ)
অধম (মূল শব্দ) – উত্তম (বিপরীতার্থক শব্দ)
অন্ধকার (মূল শব্দ) – আলো (বিপরীতার্থক শব্দ)
অত্যন্ত (মূল শব্দ) – সামান্য (বিপরীতার্থক শব্দ)
আকার (মূল শব্দ) – নিরাকার (বিপরীতার্থক শব্দ)
আয় (মূল শব্দ) – ব্যয় (বিপরীতার্থক শব্দ)
আচার (মূল শব্দ) – অনাচার (বিপরীতার্থক শব্দ)
আসমান (মূল শব্দ) – জমিন (বিপরীতার্থক শব্দ)
আত্মীয় (মূল শব্দ) – অনাত্মীয় (বিপরীতার্থক শব্দ)
উত্তম (মূল শব্দ) – অধম (বিপরীতার্থক শব্দ)
এবড়োথেবড়ো (মূল শব্দ) – সমতল (বিপরীতার্থক শব্দ)
জটিল (মূল শব্দ) – সরল (বিপরীতার্থক শব্দ)
প্রকাশ (মূল শব্দ) – গোপন (বিপরীতার্থক শব্দ)
নির্মল (মূল শব্দ) – পঙ্কিল (বিপরীতার্থক শব্দ)