লিথিয়াম ব্যাটারি হলো প্রাইমারি কোষ। এতে তড়িৎবিশ্লেষ্য হিসেবে জৈব দ্রাবকে লিথিয়াম পারক্লোরেট (LiClO4) দ্রবণ ব্যবহার করা হয়।
লিথিয়াম ব্যাটারির প্রকারভেদ
লিথিয়াম ব্যাটারি দুই প্রকার। যেমন- প্রাইমারি লিথিয়াম ব্যাটারি যেখানে লিথিয়াম ধাতু অ্যানোডরূপে ব্যবহৃত হয়। এটি রিচার্জেবল নয়। অপরটি হলো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এটিতে অ্যানোড হলো লিথিয়ামযুক্ত গ্রাফাইট; এটি রিচার্জেবল ব্যাটারি।
লিথিয়াম ব্যাটারির সুবিধাসমূহ (Advantages in Lithium Battery)
- ওজনে হালকা: লেড ধাতু ও নিকেল ধাতু দিয়ে তৈরি ব্যাটারির তুলনায় লিথিয়াম ব্যাটারি হালকা। তাই মোটর কারে এটি ব্যবহার করা হয়।
- পরিবেশ দূষণ, পাওয়ার ও স্থায়িত্ব: নিকেল ও লেড ধাতু থেকে তৈরি ব্যাটারির তুলনায় লিথিয়াম ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায়, এটি তুলনামূলক কম বর্জ্যরূপে মাটিতে যুক্ত হয়। লিথিয়াম ব্যাটারির পাওয়ার (Power) অন্য যেকোনো ব্যাটারির পাওয়ারের তুলনায় বেশি।
লিথিয়াম ব্যাটারির অসুবিধাসমূহ (Disadvantages in Lithium Battery)
- রিচার্জেবল নয়: লিথিয়াম ব্যাটারি রিচার্জেবল না হওয়ায় একবার ব্যবহার শেষে পরিত্যাজ্য বা বর্জ্য হয়। আবার ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে যুক্ত থাকলে, তথন এটি প্রতিস্থাপন করা যায় না। ফলে ইলেকট্রনিক যন্ত্রটিই বর্জ্য হয়ে যায়।
- বিপদজনক ফুটা বা লীক হওয়া: বৈদ্যুতিক যন্ত্রে ব্যবহৃত অবস্থায় লিথিয়াম ব্যাটারিতে লীক বা ফুটা হলে ঐ বৈদ্যুতিক যন্ত্র উত্তপ্ত ও পরে আগুন জ্বলে ওঠে। যেমন ২০০৬ সালে Dell Computer Company এদের ল্যাপটপের একটি ব্যাচ বাজার থেকে তুলে নিতে বাধ্য হয়। কারণ ঐ ল্যাপটপে ব্যবহৃত লিথিয়াম ব্যাটারিতে ফুটা হওয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছিল।
- কমার্শিয়াল স্টোরেজে অসুবিধা: লিথিয়াম ব্যাটারিগুলো সংস্পর্শে থাকলে ফ্রিকশন বা সংঘর্ষের কারণে পরিবেশে বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি করে। পানি-বাষ্পের করোশন বা ধাতুক্ষয় ঘটে এবং H2 গ্যাস নির্গত করে।