জটিল যৌগ কাকে বলে? জটিল যৌগের সংকেত লিখার ও নামকরণ পদ্ধতি কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অবস্থান্তর ধাতুর পরমাণু বা আয়ন এর খালি অরবিটালের সাথে নিঃসঙ্গ ইলেকট্রন জোড় যুক্ত অপর কোন আয়ন বা অণু সন্নিবেশ বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়ে জটিল আয়ন গঠন করে। এ জটিল আয়ন বিশিষ্ট যৌগকে জটিল যৌগ বলে। যেমনঃ [Cu(NH₃)₄]²+ টেট্রা অ্যামিন কপার (II) আয়ন।


জটিল যৌগের সংকেত লিখার পদ্ধতি নিম্নরূপঃ

জটিল যৌগের সংকেত লিখার সময় প্রথমে কেন্দ্রীয় পরমাণু বা আয়ন লিখতে হবে। এরপর লিগ্যান্ড এবং লিজেন্ডের সংখ্যা লিখতে হবে। জটিল যৌগে যদি একাধিক ভিন্ন লিগ্যান্ড যুক্ত থাকে তবে কেন্দ্রীয় পরমাণু বা আয়নের পর অ্যানায়নিক লিগ্যান্ড ও শেষে নিরপেক্ষ লিগ্যান্ড  লিখতে হয়। এরপর তৃতীয় বন্ধনী দ্বারা ঘিরে রাখা হয়। যেমনঃ [Cu(NH₃)₄]²+ টেট্রা অ্যামিন কপার (II) আয়ন। [FeCl₂(NH₃)₄]+ টেট্রা অ্যামিন ডাইক্লোরো আয়রন (III) আয়ন।জটিল যৌগের নামকরণ পদ্ধতিঃ
জটিল যৌগের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রথমে লিগ্যান্ড এর নাম ও সংখ্যা এবং শেষে ধনাত্মক জটিল আয়নের বেলায় কেন্দ্রীয় পরমাণুর নাম ও জারণ সংখ্যা লিখতে হয়। একাধিক লিগ্যান্ড উপস্থিত থাকলে তাদের নাম লিখার সময় ইংরেজি নামের বর্ণ ক্রমানুসারে এবং সংখ্যাকে ডাই, ট্রাই, টেট্রা ইত্যাদি উপসর্গ দ্বারা লিখতে হয়।
জটিল যৌগ ধনাত্মক চার্জযুক্ত হলে কেন্দ্রীয় পরমাণুর মূল নাম বসে। যেমনঃ [Cu(NH₃)₄]²+ টেট্রা অ্যামিন কপার (II) আয়ন।
আবার, জটিল যৌগটি অ্যানায়ন হলে কেন্দ্রীয় পরমাণুর নামের শেষে এট যুক্ত হয়। যেমনঃ [Fe(CN)₆]³- হেক্সা সায়ানো ফেরেট (III) আয়ন।