ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় হলো– ইন্টারনেট হলাে তথ্যের বিশাল ভাণ্ডার। এমন কোন তথ্য নেই যা ইন্টারনেটে পাওয়া যায় না। ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে কাক্ষিত তথ্যের নাম লিখে সার্চ করলেই বিশ্বের অসংখ্য সার্ভারে থাকা তথ্যগুলাে প্রদর্শিত হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুহুর্তেই বিশ্বের যেকোন প্রান্তে ই-মেইল করে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। ই-মেইলের সাথে এটাচ করে বড় ডকুমেন্ট বা ফাইল যুক্ত করে পাঠানাে যায়।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্যাক্স সুবিধা পাওয়া যায়। ইন্টারনেট ব্যবহার করে VOIP এর মাধ্যমে প্রচলিত ফোনের চাইতে খুব কম খরচে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে কথা বলা যায়। ইন্টারনেট টিভি ও ইন্টারনেট রেডিও চালুর ফলে ঘরে বসেই কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলের অনুষ্ঠান উপভােগ করা যায়। বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার, ফ্রিওয়্যার, বিনােদন উপকরণ ইন্টারনেট থেকে ডাউনলােড করে কালেক্ট করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও পত্রপত্রিকার ইন্টারনেট সংস্করণ প্রকাশিত হবার ফলে এখন ঘরে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্রপত্রিকা পড়া যায়।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে ই-কমার্সের সাহায্যে ঘরে বসেই পণ্য কেনা যায়। ঘরে বসেই বিশ্বের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাের শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। ইয়াহু মেসেঞ্জার, গুগল টক, স্কাইপি ইত্যাদি ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে থাকা যেকোন ব্যক্তির সাথে টেক্সট ও ভিডিও শেয়ার করা যায়। অনলাইনে চিকিৎসা সেবা নেয়া যায়। এছাড়াও গুগল ম্যাপস এর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন স্থানের স্যাটেলাইট মানচিত্র দেখে ওই স্থান সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। ওইসব স্থানের ছবি জুম করে বড় করে খুব কাছে থেকেও দেখা যায়।