আমরা জানি, কম্পিউটারের দুটি অংশ থাকে। একটি হলো হার্ডওয়্যার আর আরেকটি সফটওয়্যার। কম্পিউটার এই দুইটির মাধ্যমে চলে। একটি কম্পিউটারের যা দৃশ্যমান অর্থাৎ দেখা যায় এরকম যন্ত্র ও যন্ত্রাংশকে হার্ডওয়্যার বলে। হার্ডওয়্যার বলতে কীবোর্ড, মাউস, মনিটর ইত্যাদিকে বুঝায়। আর দেখা যায় না অথচ অন্তরালে থেকে কম্পিউটারকে চালায় তাই সফটওয়্যার। যেমনঃ বিভিন্ন প্যাকেজ প্রোগ্রাম। একটা কী-বাের্ড, মনিটর, সিস্টেম ইউনিট ন্যূনতম এই কয়টি হার্ডওয়্যার সামগ্রী যুক্ত করে কম্পিউটার থেকে আমরা কাজ পেতে পারি। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর পার্থক্য নিচে তুলে ধরা হলো।
হার্ডওয়্যার
- কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যার উপস্থিতি আছে তাকে হার্ডওয়্যার বলা হয়। উদাহরণ: মনিটর, হার্ডডিস্ক, প্রসেসর, র্যাম, রম ইত্যাদি।
- দেখা যায় এবং স্পর্শ করা যায়।
- সফটওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়্যার প্রাণহীন দেহের মতো।
- হার্ডওয়্যার তৈরি করতে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে হয়।
- হার্ডওয়্যার সফটওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ করে না।
- দীর্ঘদিন ব্যবহারে হার্ডওয়্যার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- ভাইরাস হার্ডওয়্যারের ক্ষতি করতে পারে না।
- একই হার্ডওয়্যার একজন বা কয়েকজন ব্যবহার করতে পারে।
- হার্ডওয়্যার তৈরি করে যানবাহনের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছাতে হয় যা সময় সাপেক্ষ।
সফটওয়্যার
- কম্পিউটারের ল্যাংগুয়েজ দিয়ে তৈরি নির্দেশাবলি বা প্রোগ্রামিং কোডসমূকে সফটওয়্যার বলা হয়।
- স্পর্শ করা যায় না।
- হার্ডওয়্যার ছাড়া সফটওয়্যার অর্থহীন।
- সফটওয়্যার তৈরি করতে বড় কোন ইন্ডাস্ট্রি প্রয়োজন নেই।
- সফটওয়্যার হার্ডওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
- আজীবন ব্যবহার করলেও সফটওয়্যার নষ্ট হয় না।
- কম্পিউটার ভাইরাস সফটওয়্যারের ক্ষতি করতে পারে।
- একই সফটওয়্যার কপি করে লক্ষ লক্ষ লোক ব্যবহার করতে পারে।
- সফটওয়্যার তৈরির পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের কাছে সহজেই পৌঁছানো যায়।