উপাসনা অর্থ ঈশ্বরকে স্মরণ করা এবং একাগ্রচিত্তে তাঁর আরাধনা করা। অর্থাৎ, একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরকে স্মরণ ও তাঁর আরাধনা করাকে উপাসনা বলে। উপাসনা দুই প্রকার। যথা- ১. সাকার উপাসনা ও ২. নিরাকার উপাসনা।
সাকার উপাসনা : ‘সাকার’ অর্থ যার আকার বা রূপ আছে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা, কালী, সরস্বতী প্রভৃতি দেব-দেবী হলেন ঈশ্বরের সাকার রূপ। এসব দেব-দেবীর মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা করাই সাকার উপাসনা।
নিরাকার উপাসনা : ‘নিরাকার’ অর্থ যার কোনো আকার বা রূপ নেই। নিরাকার উপাসনায় ভক্তরা নিজেদের অন্তরে ঈশ্বরকে অনুভব করেন। তাঁর স্তব-স্তুতি করে প্রার্থনা জানান। ঈশ্বরের নিরাকার ভাবকে বলে ব্রহ্মভাব। ঈশ্বরকে ব্রহ্মভাবে উপাসনা করাই হলো নিরাকার উপাসনা।
আমরা উপাসনা করব কেন?
উপাসনা আমাদের সৎপথে বা ধর্মপথে পরিচালিত করে। এর মাধ্যমে মনে স্থিরতা ও একাগ্রতা আসে। এ একাগ্রতা শুধু ধর্মের ক্ষেত্রে নয়, জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজন। উপাসনা করে আমরা সৎ ও ধার্মিক হতে পারি। এর ফলে আমাদের সমাজ শান্তিময় হবে। আমরা ভালো থাকব। তাই সৎপথে চলার জন্য ও জীবনকে সুন্দর করার জন্য আমরা নিয়মিত উপাসনা করব।
এ সম্পর্কিত আরও কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ–
উপাসনা শব্দের অর্থ কি?
উত্তর : ঈশ্বরকে স্মরণ করা।
উপাসনা কিসের অঙ্গ?
উত্তর : ধর্মের।
উপাসনা কি?
উত্তর : উপাসনা একটি নিত্যকর্ম।
উপাসনা করলে কী হয়?
উত্তর : দেহ ও মন পবিত্র হয়।