স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

স্বাধীনতার ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Liberty’ কথাটি এসেছে ল্যাতিন শব্দ ‘Liber’ থেকে, যার অর্থ স্বাধীন। শব্দগত অর্থে স্বাধীনতা বলতে বোঝায় নিজের ইচ্ছামত কাজ করার অবাধ বা অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা। হবস, লক, অ্যাডাম স্মিথ, বেন্থাম, স্পেন্সার, মিল প্রমুখ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা স্বাধীনতার বলতে সকল প্রকার বাধা নিষেধের অনুপস্থিতিকে বুঝিয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

ল্যাস্কি, বার্কার প্রমুখ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা স্বাধীনতার উপরোক্ত নেতিবাচক সংজ্ঞাকে গ্রহণ করেন নি, কারণ তাঁদের মতে, অবাধ স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর। বিনা বাধায় যা খুশি করার অধিকার স্বীকৃতি হলে সমাজ উচ্ছৃঙ্খলতায় ভরে উঠবে এবং স্বাধীনতা কেবলমাত্র মুষ্টিমেয় সবল ব্যক্তির করায়ত্ত হবে। বার্কার, ল্যাস্কি প্রমুখেরা স্বাধীনতাকে ইতিবাচক অর্থে ব্যাখ্যা করার পক্ষপাতী।

 

ল্যাস্কি বলেন, ‘স্বাধীনতা বলতে আমি বুঝি সেই পরিবেশের সযত্ন সংরক্ষণ, যে পরিবেশে মানুষ তার ব্যক্তিসত্তাকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে পারে। স্বাধীনতার উপযোগী এই পরিবেশ সৃষ্টি হয় কতকগুলি বাহ্যিক অবস্থার সংরক্ষণের দ্বারা। আর এই বাহ্যিক অবস্থাগুলি সৃষ্ট ও সংরক্ষিত হয় অধিকারের দ্বারা। অর্থাৎ অধিকারের দ্বারাই স্বাধীনতার পরিবেশ রচিত হয়। তাই ল্যাস্কির মতে, স্বাধীনতা হলো অধিকারের ফল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

স্বাধীনতা একটি আইনগত ধারণা এবং কেবলমাত্র রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাধীনতার উপলব্ধি সম্ভবপর হয়। রাষ্ট্র আইনের দ্বারা এমন একটি পরিবেশ রচনা করে যেখানে ব্যক্তি তার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে। এই কারণে স্বাধীনতা অবাধ বা অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। বার্কার বলেছেন, “রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাধীনতা বা আইনগত স্বাধীনতা কখনই প্রত্যেকের অবাধ স্বাধীনতা হতে পারে না, এ হল সবসময় সকলের জন্য শর্ত সাপেক্ষে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার উপযোগী এই পরিবেশ সৃষ্টি ও সংরক্ষিত হতে পারে রাষ্ট্রীয় আইনের দ্বারা।

 

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের বা নিয়ন্ত্রণের কোন বিরোধ নেই। কারণ রাষ্ট্র আইনের মাধ্যমে স্বাধীনতার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে। ফরাসী দার্শনিক, রুশো-র মতে, আইনের প্রতি আনুগত্যই হলো স্বাধীনতা। অনুরূপভাবে জার্মান দার্শনিক হেগেলের মতে, রাষ্ট্রের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করেই কেবলমাত্র ব্যক্তিমানুষ পায় যথার্থ স্বাধীনতার স্বাদ। কারণ, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যশীল থেকে ব্যক্তি মানুষ তার যুক্তিহীন আবেগের ওপর নির্ভরতা থেকে মুক্তি পায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

স্বাধীনতার ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Liberty’ কথাটি এসেছে ল্যাতিন শব্দ ‘Liber’ থেকে, যার অর্থ স্বাধীন। শব্দগত অর্থে স্বাধীনতা বলতে বোঝায় নিজের ইচ্ছামত কাজ করার অবাধ বা অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা। হবস, লক, অ্যাডাম স্মিথ, বেন্থাম, স্পেন্সার, মিল প্রমুখ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা স্বাধীনতার বলতে সকল প্রকার বাধা নিষেধের অনুপস্থিতিকে বুঝিয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ল্যাস্কি, বার্কার প্রমুখ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা স্বাধীনতার উপরোক্ত নেতিবাচক সংজ্ঞাকে গ্রহণ করেন নি, কারণ তাঁদের মতে, অবাধ স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর। বিনা বাধায় যা খুশি করার অধিকার স্বীকৃতি হলে সমাজ উচ্ছৃঙ্খলতায় ভরে উঠবে এবং স্বাধীনতা কেবলমাত্র মুষ্টিমেয় সবল ব্যক্তির করায়ত্ত হবে। বার্কার, ল্যাস্কি প্রমুখেরা স্বাধীনতাকে ইতিবাচক অর্থে ব্যাখ্যা করার পক্ষপাতী।

 

ল্যাস্কি বলেন, ‘স্বাধীনতা বলতে আমি বুঝি সেই পরিবেশের সযত্ন সংরক্ষণ, যে পরিবেশে মানুষ তার ব্যক্তিসত্তাকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে পারে। স্বাধীনতার উপযোগী এই পরিবেশ সৃষ্টি হয় কতকগুলি বাহ্যিক অবস্থার সংরক্ষণের দ্বারা। আর এই বাহ্যিক অবস্থাগুলি সৃষ্ট ও সংরক্ষিত হয় অধিকারের দ্বারা। অর্থাৎ অধিকারের দ্বারাই স্বাধীনতার পরিবেশ রচিত হয়। তাই ল্যাস্কির মতে, স্বাধীনতা হলো অধিকারের ফল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

স্বাধীনতা একটি আইনগত ধারণা এবং কেবলমাত্র রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাধীনতার উপলব্ধি সম্ভবপর হয়। রাষ্ট্র আইনের দ্বারা এমন একটি পরিবেশ রচনা করে যেখানে ব্যক্তি তার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে। এই কারণে স্বাধীনতা অবাধ বা অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। বার্কার বলেছেন, “রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাধীনতা বা আইনগত স্বাধীনতা কখনই প্রত্যেকের অবাধ স্বাধীনতা হতে পারে না, এ হল সবসময় সকলের জন্য শর্ত সাপেক্ষে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার উপযোগী এই পরিবেশ সৃষ্টি ও সংরক্ষিত হতে পারে রাষ্ট্রীয় আইনের দ্বারা।

 

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের বা নিয়ন্ত্রণের কোন বিরোধ নেই। কারণ রাষ্ট্র আইনের মাধ্যমে স্বাধীনতার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে। ফরাসী দার্শনিক, রুশো-র মতে, আইনের প্রতি আনুগত্যই হলো স্বাধীনতা। অনুরূপভাবে জার্মান দার্শনিক হেগেলের মতে, রাষ্ট্রের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করেই কেবলমাত্র ব্যক্তিমানুষ পায় যথার্থ স্বাধীনতার স্বাদ। কারণ, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যশীল থেকে ব্যক্তি মানুষ তার যুক্তিহীন আবেগের ওপর নির্ভরতা থেকে মুক্তি পায়।