গ্রাফিক্সের বা চিত্রের মাধ্যমে কমান্ড প্রয়োগ করে কম্পিউটার পরিচালনা করাকে চিত্রভিত্তিক ইউজার ইন্টাফেস অপারেটিং সিস্টেম বলে। চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন কাজের জন্য নির্দেশের গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনা (আইকন) এবং পুল ডাউন মেনু থাকে। মাউস কিংবা কী-বোর্ড ব্যবহার করে কমান্ড প্রয়োগ করা যায়। টেক্সটভিত্তিক ইউজার ইন্টারফেস থেকে গ্রাফিক্স ইউজার ইন্টারফেসের মূল পার্থক্য হলো ব্যবহারিক বা প্রায়োগিক। অর্থাৎ, এতে টেক্সটবেসড অপারেটিং সিস্টেমের মতো কমান্ড মুখস্থ করতে হয় না।
মনিটরে প্রদর্শিত নির্দিষ্ট আইকনে ক্লিক করে কমান্ড প্রয়োগ করা যায়। যার ফলে ব্যবহারকারী কী-বোর্ড ব্যবহার না করে শুধু মাউস ব্যবহার করেও কম্পিউটার পরিচালনা করতে পারে। কম্পিউটার পরিচালনা সহজতর করার জন্য চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ হলো মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের তৈরি Windows 98। Windows একটি মাল্টিপ্রোগামিং গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম। এখানে একসাথে একাধিক প্রোগ্রাম পরিচালনা করা সম্ভব।
চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা
১. কমান্ড মুখস্থ করার প্রয়োজন হয় না।
২. নতুন ব্যবহারকারীরা ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ পায়।
৩. বিভিন্ন প্রোগ্রামের আইকন থাকে। আইকনের উপর মাউস পয়েন্টার নিয়ে ক্লিক করে প্রোগ্রাম কাজ করা যায়।
৩. একসাথে একাধিক প্রোগ্রাম চালানো যায়।
চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের অসুবিধা
১. এ ধরনের সিস্টেমে গ্রাফিক্স থাকায় মেমোরি বেশি প্রয়োজন হয়।
এ সিস্টেম টেক্সটভিত্তিক সিস্টেমের চেয়ে দ্রুততর কাজ করে না।
বেশি মাউস নির্ভর হওয়ায় কোন কারণে মাউস নষ্ট হলে অসুবিধায় পড়তে হয়।
এ সিস্টেম বেশি ব্যয়বহুল।