যে সকল মৌল কোনো কোনো সময় ধাতুর মতো আচরণ করে এবং কোনো কোনো সময় অধাতুর মতো আচরণ করে তাদেরকে অর্ধধাতু বা উপধাতু বলে। যেমন, সিলিকন (Si) একটি উপধাতু।
উপধাতু কাকে বলে? জিঙ্ক ধাতুর ভৌত ধর্ম ও ব্যবহার লেখো।
যে সকল মৌল কোনো কোনো সময় ধাতুর মতো আচরণ করে এবং কোনো কোনো সময় অধাতুর মতো আচরণ করে তাদেরকে অর্ধধাতু বা উপধাতু বলে। যেমন, সিলিকন (Si) একটি উপধাতু।
জিঙ্ক ধাতুর ভৌত ধর্ম
নিচে জিঙ্ক ধাতুর ভৌত ধর্ম আলোচনা করা হলো:
১. এটি নীলাভ সাদা বর্ণের।
২. এর আপেক্ষিক গুরুত্ব 7.1।
৩. 100° তাপমাত্রার নিচে ইহা ভঙ্গুর কিন্তু 100°-150° C তাপমাত্রায় একে সরু তারে বা পাতে পরিণত করা যায়।
৪. এর গলনাঙ্ক 419.6° C এবং স্ফুটনাঙ্ক 907° C.
জিঙ্কের ব্যবহার
নিচে জিঙ্কের ব্যবহার বর্ণনা করা হলো:
১. লোহার জিনিসকে মরিচার হাত থেকে রক্ষার জন্য এর ওপর জিঙ্কের প্রলেপ দেয়া হয়। ঘরের ছাদ হিসেবে যে টিন ব্যবহার করা হয়, তা প্রকৃতপক্ষে জিঙ্কের প্রলেপযুক্ত ইস্পাতের পাত।
২. বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সেল, বিশেষ করে ড্রাইসেল বা ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
৩. ব্রাস বা পিতল, জার্মান সিলভার প্রভৃতি ধাতু সংকর তৈরিতে জিঙ্ক ব্যবহৃত হয়।
৪. গোল্ড ও সিলভার নিষ্কাশনে জিঙ্ক ব্যবহৃত হয়।
৫. জিঙ্ক চূর্ণ পরীক্ষাগারে হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরিতে এবং কিছু বিক্রিয়ার বিজারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।