যেসব বিকারক বিক্রিয়াকালে নিউক্লিয়াসের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং ইলেকট্রন দান করে তাদেরকে কেন্দ্রাকর্ষী বিকারক বা নিউক্লিওফাইল বলে।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুবিধা ও অসুবিধা
বিশ্বের অনেক দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় তাপীয় পদ্ধতিতে। ২০০৭ সালে বিশ্বে সক্রিয় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৫০,০০০। এদের মধ্যে জীবান্ম-জ্বালানী যেমন কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস উল্লেখযোগ্য। তার মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। যেমন–
সুবিধা:
অনেক দেশে কয়লা খনি থাকায় জ্বালানী হিসেবে কয়লার দাম কম।
এক দেশ হতে অন্য দেশে কয়লা পরিবহনে ট্রাক, জাহাজ ব্যবহার করা যায়। ফলে পরিবহন খরচ প্রাকৃতিক গ্যাসের তুলনায় কম।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশনের শক্তি উৎপাদনের কর্মক্ষমতা যেখানে ৩০-৩২% সেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শক্তি উৎপাদনের কর্মক্ষমতা বেশি ৩৩%-৪৮%।
তুলনামূলকভাবে এর উৎপাদন খরচ কম। এক হিসাবে দেখা যায়, 1 Kw কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য খরচ পড়ে ৭৫০-১০০০ পাউন্ড যেখানে বায়ু হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ প্রায় দ্বিগুণ।
অসুবিধা:
- কয়লা দহনের পর উৎপন্ন CO2, SO2 ও NOx বায়ু দূষণ ঘটায় ও অম্ল-বৃষ্টির দ্বারা পরিবেশের ক্ষতি সাধ করে।
- কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যে, CO2 গ্যাস নির্গত হয় তা প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ। সুতরাং CO2 এর দ্বারা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
- বর্জ তাপ (waste heat) বায়ুতে মিশে অথবা নদী হ্রদের পানিকে উত্তপ্ত করে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
- কয়লা দহনের আর একটি অসুবিধা হচ্ছে পার্টিকুলেট (particulate) পদার্থের নিঃসরণ যার মারাত্মক প্রভাব রয়েছে জনস্বাস্থ্যে।
- কয়লা দহনের পর যে কয়লা ভষ্ম পাওয়া যায় তাতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ, আর্সেনিক ও সিসা থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।