আন্তঃআণবিক শক্তিঃ প্রত্যেক পদার্থই অণুর সমন্বয়ে গঠিত। এই অণুসমূহ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। যে শক্তি বলে অণুসমূহ পরস্পরকে আকর্ষণ করে তাকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলে। আকর্ষণের পরিমাণ বস্তুর প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। কঠিন পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে বেশি। এজন্যই অণুগুলো পরস্পরের খুব কাছাকাছি এবং দৃঢ়ভাবে অবস্থান করে। তাই নড়াচড়া করলেও স্থানান্তরিত হতে পারে না।
তরল পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি কঠিন পদার্থের তুলনায় কম। সেজন্য অণুগুলো কিছুটা দূরে অবস্থান করে এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে। বায়বীয় পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে কম। সেজন্যই অণুগুলো বেশ দূরে দূরে অবস্থান করে এবং কোনো আবদ্ধ পাত্রে না রাখলে তা চারদিকে মুক্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
আন্তঃআণবিক দূরত্বঃ পদার্থ মাত্রই অনেক অণুর সমষ্টি। অণুগুলো একত্রে পাশাপাশি থাকে। পাশাপাশি থাকার কারণে এগুলোর মধ্যে কিছু ফাঁকা জায়গা থেকে যায়। দুটি অণুর মধ্যবর্তী এরূপ ফাঁকা জায়গা বা দূরত্বকে আন্তঃআণবিক দূরত্ব বলে। অর্থাৎ অণুসমূহের মধ্যবর্তী দূরত্বকে আন্তঃআণবিক দূরত্ব বলে। আন্তঃআণবিক দূরত্ব বেড়ে গেলে আন্তঃআণবিক শক্তি কমে যায় এবং গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।