লিগ্যান্ড কাকে বলে? লিগ্যান্ড কত প্রকার ও কি কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জটিল যৌগ গঠনের সময় অবস্থান্তর ধাতু বা আয়ন নিঃসঙ্গ ইলেকট্রনযুক্ত অপর কোন পরমাণু বা আয়ন বা অণুর সাথে সন্নিবেশ বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়। এই নিঃসঙ্গ ইলেকট্রন জোড় প্রদানকারী পরমাণু বা আয়ন বা যৌগকে দাতা বা লিগ্যান্ড বলে। যেমনঃ NH₃ ; OH- ; CN- ; H₂O ইত্যাদি।

লিগ্যান্ড এর শ্রেণীবিভাগ
লিগ্যান্ডকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ–
১. মনোডেনটেট বা একদন্তী লিগ্যান্ড।
২. ডাইডেনটেট বা দ্বিদন্তী লিগ্যান্ড।
৩. পলিডেনটেট লিগ্যান্ড।
১. মনোডেনটেট বা একদন্তী লিগ্যান্ডঃ যে লিগ্যাড কেন্দ্রীয় পরমাণু বা আয়নের সাথে একটি মাত্র সন্নিবেশ বন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে তাদেরকে মনোডেনটেট বা একদন্তী লিগ্যান্ড বলে। যেমনঃ NH₃, CO, CN- ইত্যাদি।
২. ডাইডেনটেট বা দ্বিদন্তী লিগ্যান্ডঃ যেসব লিগ্যান্ড কেন্দ্রীয় পরমাণু বা আয়নের সাথে দুটি সন্নিবেশ বন্ধন দ্বারা যুক্ত হতে পারে তাদেরকে ডাইডেনটেট বা দ্বিদন্তী লিগ্যান্ড বলা হয়। যেমনঃ ইথিলিন ডাই অ্যামিন, ইথেন ডাই অয়েট আয়ন (-OOC -COO-) ইত্যাদি।
৩. পলিডেনটেট লিগ্যান্ডঃ যেসব লিগ্যান্ড কেন্দ্রীয় পরমাণু বা আয়নের সাথে দুই এর অধিক সন্নিবেশ বন্ধন গঠন করতে পারে তাদেরকে পলিডেনটেট লিগ্যান্ড বলা হয়। যেমনঃ EDTA.

কতিপয় লিগ্যান্ড এর নাম ও সংকেত
লিগ্যান্ড এর নাম ও সংকেত নিম্নরূপঃ
অ্যাকুয়া (H₂O), অ্যামমিন (NH₃), কার্বনিল (CO), হাইড্রক্সো (OH-), ক্লোরো (Cl-) , সায়ানো (CN-), নাইট্রো (NO₂-), থায়োসায়ানেটো (SCN-), সালফেটো (SO₄²-), অক্সালেটো (C₂O₄²- ) ইত্যাদি।