একই মৌলের একাধিক পরমাণু বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়ে অণু গঠন করলে, সেই অণুকে মৌলিক অণু বলে। এই সব অণুকে বিশ্লেষণ করলে একই ধর্ম বিশিষ্ট মৌলিক পরমাণু ভিন্ন অন্য কোনো পরমাণু পাওয়া যায় না।
উদাহরণঃ দুটি ক্লোরিন পরমাণু বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়ে ক্লোরিন অণু (Cl₂) গঠন করে। এই ক্লোরিন অণুকে বিশ্লেষণ করলে শুধু ক্লোরিন পরমাণু পাওয়া যায়।
আবার, দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়ে হাইড্রোজেন অণু (H₂) গঠন করে। যাকে বিশ্লেষণ করলে শুধু হাইড্রোজেন পরমাণুর পাওয়া যায়।
কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য লেখো।
কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য
কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য হলোঃ
- কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার আছে।
- কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে।
- কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট ওজন আছে।
- কঠিন পদার্থ জায়গা দখল করে।
তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য
তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য হলোঃ
- তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে।
- তরল পদার্থের নির্দিষ্ট ওজন আছে।
- তরল পদার্থ জায়গা দখল করে।
- তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আকার নেই। এটিকে যে পাত্রে রাখা হয় তার আকার ধারণ করে।
গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য
গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলোঃ
- গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল সবচেয়ে কম থাকে।
- গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলো মুক্তভাবে চলাচল করতে পারে।
- গ্যাসীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই।
- গ্যাসীত পদার্থের কম্পন, আবর্তন ও স্থানান্তর গতি সবচেয়ে বেশি হয়।
- গ্যাসীয় পদার্থের ঘনত্ব অত্যন্ত কম।
- চাপ প্রয়োগে গ্যাস অত্যন্ত সংকোচনশীল হয়।
- গ্যাসকে যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের সমস্ত আয়তন দখল করে থাকে।
- তাপ প্রয়োগে গ্যাসীয় পদার্থের প্রসারণ সবচেয়ে বেশি হয়।