দুইটি ভিন্ন মৌল দ্বারা গঠিত যৌগকে বাইনারি যৌগ বলে। যেমন- NaCl, HCl, Cu2S, CrCl3 ইত্যাদি বাইনারী যৌগের উদাহরণ। বাইনারী যৌগ আয়নিক ও সমযোজী উভয়ই হতে পারে৷ প্রত্যেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নামকরণের নিয়ম মানা হয়। অধাতু সংমিশ্রণে সৃষ্ট বাইনারী যৌগের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই প্রচলিত নাম ব্যবহার করা হয়। যেমন- H2O পানি, NO নাইট্রিক অক্সাইড প্রভৃতি।
অভ্যন্তরীণ শক্তি বলতে কী বোঝায়?
একটি গ্যাস ভর্তি বেলুনে হাত দিয়ে চাপ দাও। দেখবে যে, বেলুনটিও ভেতর থেকে তোমার হাতে চাপ দিচ্ছে। বেলুন এই শক্তি পেল কোথা থেকে? এই শক্তিই অভ্যন্তরীণ শক্তি। উপরের ধারণা থেকে আমরা বলতে পারি– প্রত্যেক ব্যবস্থা (system)-এর মধ্যে এমন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি আছে যা কাজ সম্পাদন করতে অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। বস্তুর মধ্যস্থ অণু-পরমাণুর গতিশক্তি এবং এদের মধ্যকার আন্তঃআণবিক বলের কারণে সৃষ্ট শক্তিকে অভ্যন্তরীণ শক্তি বলে। সংক্ষেপে বলা যায় বস্তু কোনো সিস্টেমের মধ্যে যে শক্তি লুক্কায়িত বা সুপ্ত অবস্থায় থাকে যা পরিবেশ পরিস্থিতিতে বহিঃপ্রকাশ ঘটায় তাকে অভ্যন্তরীণ শক্তি বলে। একে U দ্বারা প্রকাশ করা হয়। পদার্থের গঠন প্রকৃতি, চাপ ও তাপমাত্রার উপর অভ্যন্তরীণ শক্তি সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল।