তড়িৎ বিশ্লেষ্যের ওপর বিদ্যুৎ এর প্রভাব সম্পর্কিত গবেষণার সময় ফ্যারাডে লক্ষ্য করেন যে, যত বেশি তড়িৎ প্রবাহ চালনা করা যায়, তড়িৎ বিশ্লেষণের পরিমাণও তত বেশি ঘটে আবার একই পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহ বিভিন্ন দ্রবণে চালনা করলে, তড়িৎ বিশ্লেষণের পরিমাণও ভিন্ন ভিন্ন হয়। তিনি তড়িৎদ্বারে সংঘটিত রাসায়নিক বিক্রিয়ার পরিমাণের সঙ্গে প্রবাহিত বিদ্যুতের পরিমাণের সম্পর্ক আবিষ্কার করেন এবং দুটি সূত্রের সাহায্যে প্রকাশ করেন। সূত্রগুলোকে ফ্যারাডের তড়িৎ বিশ্লেষণের সূত্র বলা হয়।
নিম্নে ১ ম সূত্রটির বর্ণনা দেয়া হল–
“তড়িৎ বিশ্লেষণের ফলে কোনো তড়িৎদ্বারে সংঘটিত রাসায়নিক বিক্রিয়ার পরিমাণ (উৎপন্ন বা দ্রবীভূত পদার্থের ভর) তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মোট তড়িতের সমানুপাতিক”।
ব্যাখ্যা : যদি তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্য দিয়ে Q কুলম্ব পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার ফলে তড়িৎদ্বারে W গ্রাম ভরের একটি বস্তু সঞ্চিত বা দ্রবীভূত হয়, তবে ফ্যারাডের ১ ম সূত্রানুযায়ী–
W ∝ Q
বা, W = ZQ …………… (1)
এখানে, Z = সমানুপাতিক ধ্রুবক। যা পদার্থের ধর্মের উপর নির্ভর করে। একে পদার্থের তড়িৎ রাসায়নিক তুল্যাংক (Electrochemical equivalent) বলা হয়।