সমযোজী যৌগ কাকে বলে? সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য কি কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দুটি পরমাণুর মধ্যে এক বা একাধিক ইলেকট্রন জোড় (প্রতিটি পরমাণু থেকে আগত সম সংখ্যক ইলেকট্রন দিয়ে গঠিত) সমভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে যে রাসায়নিক বন্ধন গঠিত হয়, তাকে সমযোজী বন্ধন বা যৌগ বলে। সমযোজী বন্ধন তৈরিতে দুইটি পরমাণু পরস্পরের ইলেকট্রন শেয়ার করে।

সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য

সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ

  • সমযোজী যৌগ সাধারণত নিম্ন গলনাংক ও স্ফুটনাংক বিশিষ্ট হয়।
  • সমযোজী যৌগসমূহ সাধারণত বিদ্যুৎ অপরিবাহী হয়।
  • সমযোজী যৌগসমূহ সাধারণত পানিতে দ্রবীভূত হয় না।
  • সমযোজী যৌগ অপোলার দ্রাবক যেমনঃ বেনজিন, ইথার ইত্যাদিতে দ্রবণীয়।
  • সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান থাকে।
  • সমযোজী যৌগের অনুসমূহের মধ্যে দুর্বল ভ্যানডার ওয়ালস আকর্ষণ বল বিদ্যমান থাকে।
  • ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী বন্ধন গঠিত হয়।

সমযোজী যৌগ বিদ্যুৎ পরিবহন করে না কেন?

সমযোজী যৌগগুলি সাধারণত অধাতব পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয়।
ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী যৌগ গঠিত হওয়ায়, সমযোজী যৌগের অণুতে কোন ধনাত্মক-ঋণাত্মক আধানের সৃষ্টি হয় না।
এজন্য সমযোজী যৌগগুলি সাধারণত অপোলার হয়। সমযোজী যৌগগুলি অপোলার হওয়ায় এরা তড়িৎ পরিবহন করতে পারে না।
যেমন কার্বনের বেশিরভাগ যৌগ ইলেকট্রন শেয়ার করে সমযোজী যৌগ সৃষ্টি করে। তাই কার্বনের যৌগ সমূহের ক্ষেত্রে দেখা যায় এরা তড়িৎ পরিবহন করে না। যেমনঃ মিথেন অণুটি কার্বন ও হাইড্রোজেন অধাতুর পরমাণুসমূহ ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয়। অণুটিতে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধান গঠিত না হওয়ায় মিথেন অনুটি বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।