যখন কোনো বস্তু বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে তখন ঐ বৃত্তের কেন্দ্র অভিমুখে যে নিট বল ক্রিয়া করে বস্তুটিকে বৃত্তাকার পথে গতিশীল রাখে তাকে কেন্দ্রমুখী বল বলে।
উদাহরণঃ একটি ঢিল সুতার এক প্রান্তে বেঁধে হাত দিয়ে সুতার অপর প্রান্ত ধরে ঢিলটিকে সমগতিতে ঘোরাতে গেলে প্রতি মুহুর্তে হাত দ্বারা সুতা বরাবর ঢিলের ওপর অবশ্যই বল প্রয়োগ করতে হবে, কেননা বল বস্তুর ওপর গতিপথের সমকোণে ক্রিয়া করলেই বস্তুর শুধু গতির দিক পরিবর্তিত হবে। এখানে সুতা যে বলের সাহায্যে ঢিলটিকে কেন্দ্র অভিমুখে টেনে রাখে তাকে কেন্দ্রমুখী বল বলে। অর্থাৎ ঢিলের ওপর সুতার যে টান বা বল তা-ই কেন্দ্রমুখী বল।
এ সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন ও উত্তরঃ–
১। বাঁকা পথে চলমান সাইকেল আরোহী তার শরীরকে বাঁকের কেন্দ্রের দিকে হেলিয়ে দেয় কেন?
উত্তর : বাঁকা পথে চলমান সাইকেল আরোহী তার শরীরকে বাঁকের কেন্দ্রের দিকে হেলিয়ে দেয় প্রয়োজনীয় কেন্দ্রমুখী বল যোগান দেওয়ার উদ্দেশ্যে।
বৃত্তপথে ঘূর্ণনরত যেকোনো বস্তুকে বৃত্তের কেন্দ্রের দিকে ক্রিয়ারত কেন্দ্রমুখী বলের যোগান দিতে হয়। রাস্তার বাঁকে হেলে সাইকেল চালালে রাস্তা হতে তীর্যক বরাবর প্রতিক্রিয়া বল পাওয়া যায়। এ বলের অনুভূমিক উপাংশ কেন্দ্রমুখী বলরূপে ক্রিয়া করে।
২। কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রবিমুখী বল অসমান হলে কী ঘটে?
উত্তর : কেন্দ্রবিমুখী বলের প্রভাব নাকচ করার জন্য কেন্দ্রমুখী বলের যোগান দিতে হয়। এ বল দুটি যেকোনো মুহূর্তে অসমান মানের হলে বস্তুটি বৃত্তপথে আর ঘুরতে পারবে না। কেন্দ্রবিমুখী বল > কেন্দ্রমুখী বল হলে, বস্তুটি কেন্দ্র হতে বাইরের দিকে ছিটকে পড়বে। আর, কেন্দ্রমুখী বল > কেন্দ্রবিমুখী বল হলে, বস্তুটি কেন্দ্রের দিকে ছিটকে পড়বে।