উৎস জানা থাকলে মৌলিক নিয়মে যেকোন মুহূর্তে তরঙ্গমুখের নতুন অবস্থান ও আকৃতি নির্ণয় করা যায়। উৎস জানা না থাকলেও কোন সময়ের একটি তরঙ্গমুখের অবস্থান ও আকৃতি জানা থাকলে হাইগেনের নীতির সাহায্যে পরবর্তী যে কোন সময়ের তরঙ্গমুখের অবস্থান ও আকৃতি নির্ণয় করা যায়।
এখানে উল্লেখ্য হাইগেনের নীতিকে বা তত্ত্বকে কখনও কখনও তরঙ্গ তত্ত্ব নামেও ডাকা হয়। হাইগেনের নীতিকে আমরা এভাবে বিবৃত করতে পারি – “একটি তরঙ্গমুখের উপর অবস্থিত প্রতিটি বিন্দু হবে এক একটি আন্দোলনের ক্ষুদ্র উৎস এবং ঐ বিন্দুগুলো থেকে গৌণ বা অণু তরঙ্গমালা নির্গত হয়ে একই বেগে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সব অণু তরঙ্গমালার সম্মুখ দিক স্পর্শ করে একটি তল অংকন করলে তরঙ্গমুখের নতুন অবস্থান পাওয়া যাবে।”