আমরা জানি, কোন স্থিতিস্থাপক বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করলে এর দৈর্ঘ্য, আকার বা আকৃতি, আয়তন ইত্যাদির পরিবর্তন ঘটে।
অর্থাৎ, বাইরে থেকে বল প্রয়োগের ফলে কোনো বস্তুর একক মাত্রায় যে পরিবর্তন হয় তাকে বিকৃতি (Strain) বলে। বিকৃতি একটি স্কেলার রাশি।
একই জাতীয় দুটি রাশির অনুপাত বলে বিকৃতির কোনো একক নেই।
বিকৃতির প্রকারভেদ
বিকৃতি তিন প্রকার। যথা-
১) দৈর্ঘ্য বিকৃতি
২) আকার বিকৃতি এবং
৩) আয়তন বিকৃতি।
১) দৈর্ঘ্য বিকৃতিঃ বাহ্যিক বল প্রয়োগের ফলে কোন বস্তুর দৈর্ঘ্য পরিবর্তিত হলে তাকে দৈর্ঘ্য বিকৃতি বলে। বস্তুর একক দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের পরিমাণ দিয়ে দৈর্ঘ্য বিকৃতি পরিমাপ করা হয়।
২) আকার বিকৃতি বা কৃন্তন বিকৃতিঃ বল প্রয়োগের ফলে যদি কোন বস্তুর আকারের পরিবর্তন ঘটে, তবে তাকে আকার বিকৃতি বলে। আকার পরিবর্তনে সৃষ্ট কৌণিক বিচ্যুতি দ্বারা আকার বিকৃতি পরিমাপ করা হয়।
৩) আয়তন বিকৃতিঃ বল প্রয়োগের ফলে যদি বস্তুর আয়তনের পরিবর্তন ঘটে তবে আয়তন বিকৃতি বলে এবং একক আয়তনের আয়তন পরিবর্তন দ্বারা আয়তন বিকৃতি পরিমাপ করা হয়।
এ সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন ও উত্তরঃ–
১। দৈর্ঘ্য বিকৃতি এবং পার্শ্ব বিকৃতির সম্পর্ক কীরূপ?
উত্তর : দৈর্ঘ্য বিকৃতি এবং পার্শ্ব বিকৃতি পরস্পর সমানুপাতিক।
২। পীড়ন-বিকৃতির সম্পর্ক কী?
উত্তর : কোনো একটি বস্তুর একক ক্ষেত্রফলের উপর ক্রিয়ামূলক বা প্রতিক্রিয়ামূলক বলের মানকে পীড়ন বলে। অর্থাৎ বস্তুর একক ক্ষেত্রফলের উপর প্রযুক্ত বল দ্বারা পীড়ন পরিমাপ করা হয়। অপরদিকে কোনো একটি বস্তুর একক মাত্রার যে পরিবর্তন ঘটে তা দ্বারা বিকৃতি পরিমাপ করা যায়। এই বিকৃতি দৈর্ঘ্য, আকার, আয়তন যে কোনোটিরই হতে পারে। পীড়ন বিকৃতির মধ্যে সম্পর্ক লেখচিত্র ও গাণিতিক পদ্ধতিতে নির্ণয় করা যায়।