যে সকল সরল অণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে পলিমার গঠন করে তাদেরকে মনোমার বলে। যেমন: পলিথিন হলো ইথিলিন মনোমার থেকে তৈরি পলিমার। পিভিসি পাইপ হলো ভিনাইল ক্লোরাইড নামক মনোমার থেকে তৈরি পলিমার।
মনোমার হতে কীভাবে পলিমার তৈরি হয়?
পলিমারকরণ প্রক্রিয়ায় উচ্চ চাপ ও তাপ এর প্রয়োজন হয়। মনোমার থেকে পলিমার তৈরি হয় একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে একাধিক মনোমার যুক্ত হয়ে দীর্ঘ শিকল গঠন করে। দুটি মনোমার যুক্ত হয়ে নতুন পদার্থ তৈরি করলে সেই পদার্থটিতে দুটির বেশি মনোমার থাকতে পারে না। এক্ষেত্রে–
১টি মনোমার + ১টি মনোমার → মনোমার–মনোমার বা (মনোমার)২
তিনটি মনোমার যুক্ত হলে উৎপন্ন পদার্থে তিনটির বেশি মনোমার থাকবে না। অর্থাৎ
১টি মনোমার + ১টি মনোমার + ১টি মনোমার → (মনোমার)৩
এখন যদি n সংখ্যক মনোমার যুক্ত হয় তবে পলিমারকরণ প্রক্রিয়াটি হবে–
n মনোমার → (মনোমার)n
উদাহরণ: ইথিনকে ১০০০-১২০০ atm চাপে সামান্য অক্সিজেন এর উপস্থিতিতে ২০০°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে ইথিনের ৬০০-১০০০ অণু যুক্ত হয়ে পলিথিন গঠন করে।
কয়েকটি পলিমার ও তাদের মনোমারের নাম
- পলিথিন (পলিমার) – ইথিন (মনোমার)
- পিভিসি (পলিমার) – ক্লোরোইথিন (মনোমার)
- পলিপ্রোপিলিন (পলিমার) – প্রোপিলিন (মনোমার)
- পলিস্ট্যারিন (পলিমার) – স্ট্যারিন (মনোমার)
- অরলন (পলিমার) – নাইট্রাইল (মনোমার)
- পলিভিনাইল অ্যাসিটেট (পলিমার) – ভিনাইল এসিটেট (মনোমার)