স্যার আইজ্যাক নিউটন (Sir Issac Newton, 1642-1727)
স্যার আইজ্যাক নিউটন একজন অমিত প্রতিভাধর জ্ঞান-তাপস ছিলেন। তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দে ২৫ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ার শহরের উলছথ্রোপে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল হতেই পড়া লেখার প্রতি তাঁর প্রগাঢ় আগ্রহ ছিল। ২০ বছর বয়সে তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হন। পদার্থবিজ্ঞানে এবং গণিতশাস্ত্রে তাঁর বিপুল অবদান রয়েছে। তন্মধ্যে গতি সূত্র, মহাকর্ষ সূত্র, শব্দের গতি, ক্যালকুলাস, আলোকের বিচ্ছুরণ, বর্ণালী তত্ত্ব প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৭২৭ স্যার আইজ্যাক নিউটন খ্রিস্টাব্দের ২০ মার্চ মারা যান।
গ্যালিলিও (Galileo, 1564-1642)
মনীষী গ্যালিলিও ষোড়শ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ ছিলেন। তিনি ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইতালির পিশা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৫৮৯ খ্রিস্টাব্দে পিশা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। তিনি জ্যোতির্বিদ্যায় ও পদার্থবিজ্ঞানে নব নব আবিষ্কারের দ্বারা জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেন। তন্মধ্যে দূরবীক্ষণ যন্ত্র, দোলকের নিয়ম এবং তাপমান যন্ত্র সমধিক উল্লেখযোগ্য। তিনি সৌরকেন্দ্রিক পৃথিবীর মতের জন্য ধর্মযাজকদের হাতে অশেষ নির্যাতন ভোগ করেন। তিনি ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দের ৪ জানুয়ারি মারা যান।
আর্কিমিডিস (Archimedes, 287 B. C. – 212 B. C.)
আর্কিমিডিস (Archimedes) ছিলেন একজন গ্রিক গণিতবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার, আবিষ্কারক এবং জ্যোতির্বিদ। তিনি একদিকে যেমন গোলকের আয়তন, পাইয়ের মান, অসীম সিরিজের যোগফল এ ধরনের গাণিতিক সমস্যার সমাধান করেছেন, ঠিক সে রকম অন্যদিকে পানি উপরে তোলার জন্য স্ক্রু পাম্প, শক্রর যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস করার জন্য বিচিত্র যন্ত্র কিংবা দূর থেকে আগুন ধরিয়ে দেয়ার জন্য বিশেষ আয়না তৈরি করে দিয়েছিলেন। তাঁকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একজন গণিতবিদ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। তাঁর শহর রোমান সৈন্যরা যখন দখল করে নেয় তখন তিনি একটা গাণিতিক সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর কোনো ক্ষতি না করার নির্দেশ থাকার পরও একজন রোমান সৈন্য তাঁকে হত্যা করে ফেলেছিল।
আলবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein, 1879-1956)
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বিজ্ঞানের আকাশে এক অপরাজেয় মনীষীর আবির্ভাব হয়। তাঁর নাম আলবার্ট আইনস্টাইন। তিনি ১৮৭৯ মার্চ জার্মানির উলম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বিখ্যাত আপেক্ষিক তত্ত্ববাদ (Theory of Relativity) তাঁরই অবদান। তিনি দেখলেন যে, জড় এবং শক্তি অভেদ্য। জড় নিজের ভর ধ্বংস করে শক্তি উৎপন্ন করে। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে পদার্থবিজ্ঞানের নানারকমের বহু মূল্যবান গবেষণার জন্য তিনি আলবার্ট আইনস্টাইন নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জি. মার্কনি (G. Marconi, 1874-1937)
১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে জি. মার্কনি ইতালির অন্তর্গত বোলোগনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বেতার বার্তা প্রেরণে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বেতার বার্তা প্রেরণ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য তিনি নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুলাই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জোহান কেপলার
জন্মঃ ২৭ ডিসেম্বর, ১৫৭১, ওরটেমবার্গ।
মৃত্যুঃ নভেম্বর, ১৬৩০, রেজেনবার্গ, বাভারিয়া।
জার্মান জ্যোতির্বিদ ১৬০৯ সালে গ্রহগতি সম্পর্কে সূত্র আবিষ্কার করেন। এই সূত্র কেপলারের সূত্র নামে পরিচিত। যে গ্রহটি সূর্যের যত কাছাকাছি, সূর্যের চারিদিকে তা তত দ্রুত ঘুরবে। কেপলার ও গ্যালিলিও’র মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পত্রালাপ ছিল।