তেজস্ক্রিয়তার ফলে একটি তেজস্ক্রিয় পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভাঙ্গন ঘটে এবং তা একটি নতুন পরমাণুতে পরিণত হয়। অর্থাৎ তেজস্ক্রিয়তার ফলে তেজস্ক্রিয় পরমাণুর সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। একে তেজস্ক্রিয় ক্ষয় (Radioactive decay) বলে।
তেজস্ক্রিয়তা একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রাকৃতিক ঘটনা। একটি তেজস্ক্রিয় পরমাণু কখন ভেঙ্গে যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে বিজ্ঞানী এলস্টার (Elster) ও গাইটেল (Geitel) লক্ষ্য করেন যে, একটি তেজস্ক্রিয় নমুনায় তেজস্ক্রিয় রশ্মি নিঃসরণের হার অর্থাৎ তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের হার ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। সুতরাং, নমুনায় তেজস্ক্রিয় পরমাণুর ভাঙ্গনের হারের সাথে ঐ সময়ে উপস্থিত তেজস্ক্রিয় পরমাণু সংখ্যার একটি সম্পর্ক অবশ্যই থাকবে। তাঁরা পরীক্ষার সাহায্যে কোনো নমুনায় তেজস্ক্রিয় পরমাণু ভাঙনের হার ও ঐ সময় উপস্থিত অক্ষত পরমাণু সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে সমর্থ হন। সম্পর্কটি হচ্ছে–
কোনো তেজস্ক্রিয় নমুনায় পরমাণু ভাঙ্গনের হার ঐ সময়ে উপস্থিত অক্ষত পরমাণু সংখ্যার সমানুপাতিক। একে তেজস্ক্রিয় ক্ষয় সূত্র বলে।