আড় তরঙ্গ, দীঘল তরঙ্গ, অগ্রগামী তরঙ্গ এবং স্থির তরঙ্গ কাকে বলে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আড় তরঙ্গ : যে তরঙ্গে মাধ্যমের কণাগুলো তরঙ্গের গতির অভিমূখের সমকোণে কম্পিত হয় তাকে আড় তরঙ্গ বলে। যেমন- পানিতে ঢিল ছোড়ার ফলে পানির উপরি তলে সৃষ্ট তরঙ্গ, আলোক তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ বা যেকোনো প্রকার তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গ ইত্যাদি।

দীঘল তরঙ্গ : যে তরঙ্গের ক্ষেত্রে মাধ্যমের কণাগুলোর কম্পনের দিক তরঙ্গ প্রবাহের অভিমুখের সমান্তরাল হয় তাকে দীঘল তরঙ্গ বলে। যেকোনো মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ একটি দীঘল তরঙ্গের উদাহরণ।

অগ্রগামী তরঙ্গ : যে তরঙ্গ মাধ্যমের স্তর থেকে স্তরে ক্রমাগত সঞ্চালিত হয়ে নির্দিষ্ট বেগে অগ্রসর হয় তাকে অগ্রগামী তরঙ্গ বলে।

স্থির তরঙ্গ : কোন মাধ্যমে একই কম্পাঙ্ক ও বিস্তারের দুটি অভিন্ন অগ্রগামী তরঙ্গ বিপরীত দিক থেকে সমবেগে পরস্পরের উপর আপতিত হয়ে যে তরঙ্গ উৎপন্ন করে তা কোন দিকে অগ্রসর না হয়ে সৃষ্ট স্থানেই পর্যায়ক্রমিক উৎপন্ন ও বিলুপ্ত হতে থাকে। এ তরঙ্গকে স্থির তরঙ্গ বলে।