শব্দের প্রাবল্য বা তীব্রতা বলতে শব্দ কতটা জোরে হচ্ছে তা বুঝায়। অর্থাৎ, শব্দ বিস্তারের অভিমুখে লম্বভাবে রাখা একক ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ শব্দশক্তি প্রবাহিত হয় তাকে শব্দের প্রাবল্য বা তীব্রতা বলে। SI পদ্ধতিতে শব্দের তীব্রতার একক Wm-2।
সুরযুক্ত শব্দের বৈশিষ্ট্য কয়টি ও কি কি?
সুরযুক্ত শব্দের বৈশিষ্ট্য তিনটি। এগুলো হলোঃ
১। তীব্রতা বা প্রাবল্য
২। তীক্ষ্ণতা
৩। গুণ বা জাতি
১। তীব্রতা বা প্রাবল্যঃ শব্দ কোনো মাধ্যমের মধ্যদিয়ে সঞ্চালনের পথে লম্বভাবে অবস্থিত একক ক্ষেত্রফলের মধ্যদিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ শক্তি প্রবাহিত হয়, তাকে শব্দের তীব্রতা বলে। একে I দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর একক Wm-2।
২। তীক্ষ্ণতাঃ সুরযুক্ত শব্দের যে বৈশিষ্ট্য দিয়ে একই প্রাবল্যের খাদের সুর এবং চড়া সুরের পার্থক্য বুঝা যায় তাকে তীক্ষ্ণতা বলে। অন্যভাবে বলা যায় যে, সুরযুক্ত শব্দের যে বৈশিষ্ট্য দিয়ে একই তীব্রাকার শব্দকে কখনো মোটা আবার কখনো চিকন বা তীক্ষ্ণ শোনা যায় তাকে তীক্ষ্ণতা বলে।
৩। গুণ বা জাতিঃ সুরযুক্ত শব্দের যে বৈশিষ্ট্যের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন একই প্রাবল্য ও তীক্ষ্ণতাযুক্ত শব্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায় তাকে গুণ বা জাতি বলে।