এসি সার্কিটের কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী কোণের ফেজ অ্যাঙ্গেলের ‘কোসাইন’ মানকে পাওয়ার ফ্যাক্টর (Power factor) বলে। একে cosθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Power factor তিন প্রকার। যথা :
১. ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর (Unity power factor);
২. ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Lagging power factor) এবং
৩. লীডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Leading power factor)।
ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ কোন সার্কিটের ক্যাপাসিটিভ লোডের চেয়ে Inductive লোডের পরিমাণ বেশি হলে ঐ সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Leading power factor) বলে। ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর এ কারেন্ট ভোল্টেজের পিছনে থাকে।
পাওয়ার ফ্যাক্টরের গুরুত্ব
বৈদ্যুতিক সিস্টেমে পাওয়ার ফ্যাক্টরের গুরুত্ব অপরিসীম। পাওয়ার ফ্যাক্টর লোডের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ, P = VICosθ। সূত্র হতে দেখা যায়, সার্কিটের পাওয়ার, পাওয়ার ফ্যাক্টর মানের সাথে সমানুপাতিক। ফলে, পাওয়ার ফ্যাক্টরের মান কমলে সমপরিমাণ পাওয়ার স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কারেন্টের মান বৃদ্ধি করতে হয়। এতে করে সিস্টেমে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যথা- ট্রান্সফরমার, সুইচ গিয়ার, ওভারহেড লাইন ও লাইনের সাপোর্ট ইত্যাদির সাইজ বৃদ্ধি করতে হয় এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের খরচ বৃদ্ধি করতে হবে। এতে করে গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর হতে লীডিং পাওয়ার ফ্যাক্টরে উন্নতি করা হয়, তবে কিলোওয়াট ক্যাপাসিটি নির্ধারিত থাকে। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ কম পরবে। এতে করে গ্রাহকের কোনো অসুবিধা হয় না। ফলে বিদ্যুৎ সংস্থার জন্য বাড়তি খরচ নির্ধারণ করতে হয় না। তাই গ্রাহক ও বিদ্যুৎ সংস্থা উভয়ের জন্য পাওয়ার ফ্যাক্টরের গুরুত্ব অপরিসীম।