আর্দ্রতামিতি কাকে বলে? বিস্তারিত আলোচনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পদার্থবিজ্ঞানের যে শাখায় বায়ুর জলীয় বাষ্পের পরিমাণ নির্ণয় করা হয় তাকে আর্দ্রতামিতি বলে। আমাদের বায়ু মন্ডল নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, বিভিন্ন নিষ্ক্রিয়গ্যাস, ধূলিকণা দিয়ে গঠিত। এর আর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জলীয় বাষ্প। পৃথিবীর সাগর মহাসাগর, খাল বিল, নদী প্রভৃতি উৎস থেকে প্রতি নিয়ত পানি বাষ্প হয়ে বাতাসে মিশে যাচ্ছে।

এ থেকেই আবার সৃষ্টি হচ্ছে কুয়াশা, শিশির, মেঘ বৃষ্টি, পর্বত শৃঙ্গে, মেরু অঞ্চলে জমছে বরফ রাশি। বায়ুমন্ডলে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিই পৃথিবীকে প্রাণের উপযোগী করে গড়ে তুলেছে। মজার কথা হচ্ছে বায়ু মন্ডলে সব স্থানে এমন কি সব সময় একই স্থানেও জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সমান থাকে না। বিভিন্ন সময় এবং বিভিন্ন স্থানে প্রতি নিয়ত এর উপস্থিতির পরিমাণ পরিবর্তিত হচ্ছে। বায়যুন্ডলের জলীয় বাষ্পের এই তারতম্যের কারণে ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। কোনাে বস্তুতে জল বা জলীয় বাষ্প থাকা মানে বস্তুটি ভেজা বা আর্দ্র থাকা। বায়ুমন্ডলে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির সরল বর্ণনা হচ্ছে বায়ু মন্ডলের আর্দ্রতা। বায়ুমন্ডলের আর্দ্রতার পরিমাণই একে বৈশিষ্ট্যময় করে। তাই বয়ুমন্ডলের আর্দ্রতা পর্যালােচনা একটি বিশেষ বিজ্ঞান। এটি পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়।

তাই, পদার্থবিজ্ঞানের যে শাখায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির পরিমাণ নির্ণয় ও এর ফলাফল বা বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে আর্দ্রতামিতি বলে।