চৌম্বক ক্ষেত্রে কোনো একটি তল বা কুণ্ডলী (কল্পিত বা বাস্তব) চৌম্বক ক্ষেত্ররেখার অভিলম্ব বরাবর স্থাপন করলে, ঐ কুণ্ডলী বা তলের একক ক্ষেত্রফল দিয়ে যতগুলো চৌম্বক ফ্লাক্স বা ক্ষেত্ররেখা অতিক্রম করে তাকে ঐ তলের ফ্লাক্স ঘনত্ব বলে। অন্য কথায়, কোনো একটি তলের একক ক্ষেত্রফলের উপর যত সংখ্যক চৌম্বক ফ্লাক্স বা আবেশ রেখা লম্বভাবে আপতিত হয় তাকে ঐ তলের ফ্লাক্স ঘনত্ব বলে। একে চৌম্বক ক্ষেত্র বা চৌম্বক আবেশও বলা হয়।
ভৌতবিজ্ঞানে পরিমাপের প্রয়োজনীয়তা
ভৌত বিজ্ঞানে প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিমাপের প্রয়োজনীয়তা অনেক। ভৌতবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হলো দৈনন্দিন ঘটনাবলীকে সুসংগত গাণিতিক সূত্রকারে প্রকাশ করা। এই সূত্রগুলো পরবর্তীতে বিভিন্ন পদার্থবিদ এবং প্রকৌশলীরা ব্যবহার করে পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষণের ফলাফল অনুমান করেন। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞানী নিউটন গতিসূত্র প্রণয়ন করেন, যা ব্যবহার করে মহাশূন্যে রকেট প্রেরণ করা সম্ভব হয়েছে। পদার্থবিজ্ঞানীদের আরেকটি কাজ হলো, পরীক্ষণের ফলাফলের ভিত্তিতে বিদ্যমান সূত্রসমূহকে Revise বা পূর্ণগঠন করা। উপরোক্ত সকল উদ্দেশ্যে ভৌত রাশিসমূহের পরিমাপ অনিবার্য।