যে পর্যাবৃত্ত আন্দোলন কোনো জড় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে শক্তি সঞ্চালিত করে কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করে না তাকে তরঙ্গ বলে।
তরঙ্গ সৃষ্টির কারণ : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শক্তি ও তথ্য আদান প্রদানের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে তরঙ্গ। তরঙ্গ ছাড়া আমরা সূর্য থেকে আলো বা তাপ কোনোটাই পেতাম না। শুনতে বা শোনাতে পারতাম না কোনো কথা।
তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য
- মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দন গতির ফলে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় কিন্তু কণাগুলোর স্থায়ী স্থানান্তর হয় না।
- যান্ত্রিক তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন।
- তরঙ্গ একস্থান থেকে অন্যস্থানে শক্তি সঞ্চালন করে।
- তরঙ্গের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।
- তরঙ্গের প্রতিফলন ও প্রতিসরণ ও উপরিপাতন ঘটে।
তরঙ্গের প্রকারভেদ
তরঙ্গ দুই প্রকার। যথা– ১) অনুপ্রস্থ তরঙ্গ ২) অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ।
অনুপ্রস্থ তরঙ্গ : যে তরঙ্গ কম্পনের দিকের সাথে লম্বভাবে অগ্রসর হয় তাকে অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলে। পানির তরঙ্গ অনুপ্রস্থ তরঙ্গের উদাহরণ।
অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ : যে তরঙ্গ কম্পনের দিকের সাথে সমান্তরালভাবে অগ্রসর হয় তাকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে। বায়ু মাধ্যমে শব্দের তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের উদাহরণ।