চোখের কোটরের মধ্যে অবস্থিত এর গোলাকার অংশকে অক্ষিগোলক (Eyeball) বলে। এর সামনে ও পিছনের অংশ খানিকটা চ্যাপ্টা। এটি চোখের কোটরের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সীমার চারদিকে ঘুরতে পারে।
একটি অক্ষিগোলক তিনটি স্তর নিয়ে গঠিত। স্তরগুলো হলো- স্ক্লেরা, কোলয়েড এবং রেটিনা।
অক্ষিগোলকের গহ্বর বা প্রকোষ্ঠ
অক্ষিগোলকে তরল পদার্থ পূর্ণ তিনটি গহ্বর বা প্রকোষ্ঠ আছে। এগুলো হলো–
i. অগ্র প্রকোষ্ঠ (Anterior chamber) : এটি কর্ণিয়া ও লেন্সের মধ্যবর্তী প্রকোষ্ঠ। এটি অ্যাকুয়াস হিউমার নামক পানির মতো তরল পদার্থ দিয়ে পূর্ণ থাকে।
ii. পশ্চাৎ প্রকোষ্ঠ (Posterior chamber) : এটিও অ্যাকুয়াস হিউমার দিয়ে পূর্ণ আইরিশ ও লেন্সের মধ্যবর্তীস্থানে অবস্থিত প্রকোষ্ঠ।
iii. ভিট্রিয়াস প্রকোষ্ঠ (Vitrious chamber) : এটি লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী বৃহৎ প্রকোষ্ঠ যা ভিট্রিয়াস হিউমার নামক জেলির মতো স্বচ্ছ চটচটে পদার্থ দিয়ে পূর্ণ।
অক্ষিগোলকের কাজ
- স্ক্লেরা চোখের আকৃতি রক্ষা করে, চোখকে সংরক্ষণ করে ও পেশি সংযুক্ত রাখে।
- কর্ণিয়ার মাধ্যমে চোখের ভেতর আলো প্রবেশ করে।
- কনজাংটাইভা চোখকে ধুলাবালি ও জীবাণু থেকে রক্ষা করে।