কৃত্রিম চুম্বক (Artificial magnet) কাকে বলে? প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম চুম্বকের মধ্যে পার্থক্য কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কৃত্রিম চুম্বক কি বা কাকে বলে? (What is an Artificial magnet?)

যেসব চুম্বক পরীক্ষাগারে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হয় তাদের কৃত্রিম চুম্বক বলে। যেমন- লোহা, ইস্পাত, নিকেল ইত্যাদি চৌম্বক পদার্থকে কৃত্রিম চুম্বকে পরিণত করা যায়। কৃত্রিম চুম্বক সুনির্দিষ্ট আকারের হয়ে থাকে। শিল্প ও বৈজ্ঞানিক কাজে এগুলো ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম চুম্বকের চেয়ে এর চুম্বকত্ব বেশি হয়ে থাকে।

কৃত্রিম চুম্বক কত প্রকার ও কি কি?

কৃত্রিম চুম্বক দুই প্রকার। যথা: ক. স্থায়ী চুম্বক; খ. অস্থায়ী চুম্বক।

কৃত্রিম চুম্বক ব্যবহারের সুবিধাগুলো কী কী?

কৃত্রিম চুম্বকের ব্যবহারিক সুবিধাসমূহ হলো–

১. এই চুম্বককে প্রয়োজন অনুযায়ী আকার ও আকৃতি প্রদান করা যায়।

২. এই চুম্বককে প্রয়োজনমতো শক্তিশালী করা যায়।

৩. এটি সহজে বহন করা যায়।

৪. ইচ্ছামতো চুম্বকে পরিণত করা যায় বলে শিল্প ও কারখানায় এর ব্যবহার বেশি।

৫. এই চুম্বক প্রয়োজনমতো সুলভে ব্যবহার করা যায়।

প্রাকৃতিক চুম্বক ও কৃত্রিম চুম্বকের মধ্যে পার্থক্য কি? (What is the difference between natural and artificial magnet?)

প্রাকৃতিক চুম্বক ও কৃত্রিম চুম্বকের মধ্যের পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো–

প্রাকৃতিক চুম্বক

  • যে চুম্বক প্রকৃতিতে অর্থাৎ পাহাড়, পর্বত ও খনি ইত্যাদিতে পাওয়া যায়, তাকে প্রাকৃতিক চুম্বক বলে।
  • প্রাকৃতিক চুম্বকের আকর্ষণী ও দিকদর্শী গুণ খুব কম।
  • আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এ চুম্বকের ব্যবহার তেমন নেই বললেই চলে।
  • প্রাকৃতিক চুম্বকের কোন প্রকারভেদ নেই।

 

কৃত্রিম চুম্বক

  • পরীক্ষাগারে কৃত্রিম উপায়ে যে চুম্বক তৈরি করা হয়, তাকে কৃত্রিম চুম্বক বলে।
  • কৃত্রিম চুম্বকের শক্তি বেশি।
  • শিল্পক্ষেত্রে ও বৈজ্ঞানিক কাজে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
  • কৃত্রিম চুম্বককে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- স্থায়ী চুম্বক, অস্থায়ী চুম্বক।