যে সকল পদার্থ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন ধরনের রশ্মি (যেমনঃ আলফা, বিটা, গামা) বিকিরণ করে অন্য মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। সেই পদার্থগুলিকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে। তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক পদার্থগুলি হচ্ছে- রেডিয়াম, ইউরেনিয়াম, কোবাল্ট-60, হিলিয়াম-4, থোরিয়াম, পোলোনিয়াম ছাড়াও অন্যান্য তেজস্ক্রিয় মৌল এবং এদের আইসোটোপসমূহ তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
তেজস্ক্রিয় পদার্থের প্রকারভেদ
তেজস্ক্রিয় পদার্থ দু’ধরনের। যেমন,
ক. প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয় পদার্থ (Natural radioactive substance)
খ. কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় পদার্থ (Artificial radioactive substance)
ক. প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয় পদার্থ : কোনো প্রাকৃতিক পদার্থ হতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গমনের ঘটনা ঘটলে সেসব পদার্থকে প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে। যেমন– ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম, থোরিয়াম প্রভৃতি মৌল হতে যে তেজস্ক্রিয়তা ঘটে তা প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা। এসব মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ৮২ এর চেয়ে বেশি।
খ. কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় পদার্থ : কোনো মৌলকে কৃত্রিম উপায়ে তেজস্ক্রিয় মৌলে পরিণত করলে সেসব মৌলকে কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় মৌল বলে। কোনো মৌলকে নিউক্লিয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে বাইরে থেকে অতি উচ্চ বেগ সম্পন্ন কোনো কণা দ্বারা আঘাত করলে সেটি তেজস্ক্রিয় মৌলে পরিণত হয়। এদেরকে কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় মৌল বা রেডিও আইসোটোপ বলে। যেমন, কার্বন, অক্সিজেন ইত্যাদি।