কোনো বস্তুর ওপর বাহ্যিক বল প্রয়োগে স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে এর দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন ঘটানো হলে দৈর্ঘ্য পীড়ন এবং দৈর্ঘ্য বিকৃতির অনুপাতকে ঐ বস্তুর উপাদানের ইয়ং-এর গুণাঙ্ক বলে। একে দৈর্ঘ্য গুনাঙ্কও বলা হয়ে থাকে। ইয়ং এর গুণাঙ্ককে Y দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
ইয়ং গুণাঙ্ক, Y= দৈর্ঘ্য পীড়ন /দৈর্ঘ্য বিকৃতি
ইয়ং গুণাঙ্ক একটি স্কেলার রাশি।
পদার্থের চতুর্থ অবস্থা ব্যাখ্যা করো।
পদার্থের চতুর্থ অবস্থা হলো প্লাজমা। আমরা কঠিন, তরল এবং বায়বীয় ছাড়া আরও একটি শব্দের সাথে পরিচিত। এটি হলাে ‘প্লাজমা’। এটিও পদার্থের একটি অবস্থা। চারটি অবস্থাই পদার্থের অভ্যন্তরের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। প্লাজমা অবস্থা সচরাচর আমাদের চোখে ধরা পড়ে না। কঠিন থেকে তরলে তাপমাত্রা বা শক্তি অধিক হয়। তরল থেকে বাষ্পে তাপ ও শক্তি আরও অধিক হয়। তাপ শক্তি অত্যন্ত অধিক হলে বা অতি উচ্চ তাপমাত্রায় পদার্থ প্লাজমা অবস্থায় পরিণত হয়। এ অবস্থায় বস্তুর অণুগুলাে ইলেকট্রন, প্রােট্রন ও নিউট্রনে রূপান্তরিত হয়। অন্যভাবে বলা যায় গ্যাসীয় অণুসমূহ আয়তনযুক্ত হয়। প্লাজমা অবস্থা সচরাচর আমাদের চোখে ধরা পড়ে না। তবে নিয়ন সাইন, ফ্লোরােসেন্ট লাইট (টিউব লাইট, এনার্জি বাল্ব) এর মধ্যে গ্যাস পরমাণু আয়নিত বা প্লাজমা অবস্থায় থাকে। পৃথিবীর বাইরের মহাবিশ্বে প্লাজমা অবস্থারই প্রাধান্য বেশি। সূর্য এবং অধিকাংশ নক্ষত্র, উত্তর মেরুতে দৃশ্যমান মেরূজ্যোতি পদার্থের প্লাজমা অবস্থা। শিল্প কারখানায় প্লাজমা টর্চ ব্যবহৃত হয়।