স্থানীয় সময় কাকে বলে?
আকাশে সূর্যের অবস্থান দেখে যে সময় গণনা করা হয়, তাকে স্থানীয় সময় বলে। সূর্যরশ্মি কোন স্থানে লম্বভাবে কিরণ দিলে সে সময়কে উক্ত স্থানের মধ্যাহ্ন বলে এবং সেখানকার ঘড়িতে তখন বেলা ১২ টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয়। একে ঐ স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয়।
স্থানীয় সময় নির্ণয় : কোন স্থানে যখন বেলা ১২ টা তখন সে স্থান থেকে পূর্বে অবস্থিত স্থানের সময় বেশি এবং একই স্থান থেকে পশ্চিমে অবস্থিত স্থানের সময় কম হবে।
যেমনঃ কোন স্থানে যখন বেলা ১২ টা তখন সে স্থান থেকে ৫° পূর্বে অবস্থিত স্থানের সময়
= ১২টা + (৫° × ৪) মিনিট [∵ ১° দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।]
= ১২ টা ২০ মিনিট
আবার, ঐ একই স্থান থেকে ৫° পশ্চিমে অবস্থিত স্থানের সময়
= ১২ টা – (৫° × ৪) মিনিট
= ১২ টা – ২০ মিনিট
= ১১ টা ৪০ মিনিট।
প্রমাণ সময় কাকে বলে?
বিভিন্ন দ্রাঘিমায় অবস্থিত স্থানসমূহে সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্ত বিভিন্ন সময়ে হয়। ফলে কোন স্থানের মধ্যাহ্নে সূর্যের অবস্থানের সময়কালকে দুপুর ১২টা ধরে স্থানীয় সময় নির্ণয় করলে একই দেশের মধ্যে সময় গণনার বিভ্রাট হয়। এই অসুবিধা দূর করার জন্য কোন স্থানের দ্রাঘিমা রেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ধারণ করা হয়, সেই সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে। বড় বড় দেশগুলোতে প্রশাসনিক ও অন্যান্য কাজের সুবিধার জন্য একাধিক প্রমাণ সময় থাকে। যেমন– মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চারটি এবং কানাডাতে পাঁচটি প্রমাণ সময় রয়েছে।
প্রমাণ সময়ের গুরুত্ব : কোন দেশের রেল, ডাক, বেতার, তার প্রভৃতি বিভাগের কাজ চালানোর জন্য প্রমাণ সময় ব্যবহার করা হয়।