‘প্রবন্ধ’ শব্দের প্রকৃত অর্থ প্রকৃষ্ট রূপে বন্ধন। ‘প্রকৃষ্ট বন্ধন’ বলতে বিষয়বস্তু ও চিন্তার ধারাবাহিক বন্ধনকে বােঝায়। নাতিদীর্ঘ, সুবিন্যস্ত গদ্য রচনাকেই প্রবন্ধ বলে। প্রবন্ধ রচনায় বিষয়, ভাব, ভাষা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষার্থীদের বেলায় রচনা ও প্রবদ্ধ কথাটি সমার্থক। শিক্ষার্থীদের রচনায় নতুন কোনাে ভাব বা তত্ত্ব থাকে না। একটা নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা মনের ভাব বা বক্তব্যকে প্রকাশ করে। রচনা বা প্রবন্ধ লেখার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী কোনাে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা ব্যক্ত করতে পারে। এতে তার বক্তব্যকে গুছিয়ে বলার দক্ষতা জন্মে। কোনাে বিষয় সম্পর্কে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রচনা লেখার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীর ভাষা ব্যবহারেরও দক্ষতা জন্মে। বক্তব্যকে সুস্পষ্ট করার জন্য যথার্থ শব্দ প্রয়ােগ এবং উপমা, অলংকার ইত্যাদি ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষার্থী সচেতন হয়ে ওঠে। প্রকাশের জড়তা কাটিয়ে ওঠা ও ভাষাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রবন্ধ-রচনার অনুশীলন প্রয়ােজন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত আবেগ, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিত্বের স্বাধীন প্রকাশের জন্য প্রবন্ধ-রচনা অনুশীলনের বিকল্প কিছু নেই।