বাগধারা বলতে কী বোঝায়?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। বিশেষ প্রসঙ্গে শব্দের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু বাগধারা তৈরি হয়েছে। এ ধরনের প্রয়োগের পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ আভিধানিক অর্থ ছাপিয়ে বিশেষ অর্থের দ্যোতক হয়ে ওঠে। যেমন: ‘অন্ধকারে ঢিল ছোড়া’ কথাটা দিয়ে বোঝানো হয় ‘আন্দাজে কিছু করা’। এর সঙ্গে অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার বাস্তব কোনো সম্পর্ক নেই।

“যে পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে আভিধানিক অর্থের বাইরে আলাদা অর্থ প্রকাশ করে, তাকে বলা হয় বাগধারা”।

বাগধারার সাহায্যে আমরা ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করি। ভাবের ইঙ্গিতময় প্রকাশ ঘটিয়ে বক্তব্যকে রসমধুর করে উপস্থাপনের অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে বাগধারার। বাগধারার মাধ্যমে সমাজের দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা সূক্ষ্ম ব্যঞ্জনায় উদ্ভাসিত হয়। এদিক থেকে বাগধারা বাংলা সাহিত্যের বিশেষ সম্পদ। বাগধারা গঠনে বিভিন্ন শব্দের ব্যবহারকে শব্দের রীতিসিদ্ধ প্রয়োগও বলা হয়। একে বাগবিধিও বলা হয়ে থাকে