কখনও কখনও ব্যঞ্জনবর্ণ অন্য কোনো স্বর বা ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে যুক্ত হলে আকৃতির পরিবর্তন ঘটে বা সংক্ষিপ্ত হয়। ব্যঞ্জনবর্ণের এই সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলে। যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের নাম অনুসারে ফলার নামকরণ হয়। যেমন– ব-এ য-ফলা = ব্য, ব-এর র-ফলা = ব্র, ব-এর ল-ফলা = ব্ল ইত্যাদি। র-ফলা ব্যঞ্জনবর্ণের পরে যুক্ত হলে বর্ণের নিচে বসে। যেমন– ব্র। আবার র-যদি বর্ণের আগে বসে তবে (র্র) রেফ হয়ে বর্ণের ওপরে বসে। যেমন– র্ব।
ফলা ছয়টি। যথাঃ- য, ব, ম, র, ল ও ন-ফলা।
- য-ফলা(্য)= সহ্য, কাঠিন্য।
- ব-ফলা(ব) = পক্ব, অশ্ব, বিশ্বাস।
- ম-ফলা (ম)= বিস্ময়, মৃন্ময়ী, সম্মান।
- র-ফলা (্র)= প্রতি, প্রচুর, প্রমাণ।
- ল-ফলা (ল) = আল্লামা, স্লোগান, অম্ল।
- ন-ফলা (ন) :=নন্দিনী, কান্না, বিভিন্ন