অতীতে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাষাভাষী লোকের আগমন হয়েছিল এবং তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাষার বহু শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। বিশেষ করে এদেশে দুশ বছর ইংরেজ শাসনামলে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতের সব ধরনের কাজ-কর্ম ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে হতো। সেজন্য আমাদের বাংলা ভাষায় ইংরেজি শব্দের ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি। আমাদের মাতৃভাষার স্বাভাবিক ও স্বাচ্ছন্দ্য সৃষ্টির জন্য ইংরেজি শব্দের উপযুক্ত পরিভাষার প্রয়োজন।
পরিভাষার সংজ্ঞাঃ যে-কোনো ভাষার বিশেষ শব্দকে বিদেশি ভাষা থেকে মাতৃভাষায় রূপান্তরকে পরিভাষা বলে।
পরিভাষার প্রয়োজনীয়তা
প্রত্যেক ভাষা ও সাহিত্যের জন্যেই পরিভাষার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞানলাভের জন্য পরিভাষা জানা প্রয়োজন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যেও প্রচুর পরিভাষা তৈরি করা হয়েছে। পরিভাষা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন— বৈজ্ঞানিক পরিভাষা, দার্শনিক পরিভাষা, ভাষা ও সাহিত্য-বিষয়ক পরিভাষা ইত্যাদি।
পরিভাষা ব্যবহারের কয়েকটি নিয়ম
১. পারিভাষিক শব্দ হবে মূল শব্দের অর্থের যথার্থ প্রকাশক। এতে অর্থের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। যেমন– শাকিল স্যারের কাছে আমার নামে নালিশ (Complain) করেছে নাকি।
২. মূল ভাষায় প্রতিশব্দ যদি প্রচলিত না থাকে তবে পারিভাষিক শব্দ প্রয়োগ করা যায়। যেমন– সন্ধ্যার সময় টেলিভিশন দেখলে পড়বে কখন?
৩. মূল ভাষায় প্রতিশব্দ যদি সার্বজনীন ও সহজবোধ্য না হয় তবে পারিভাষিক শব্দ প্রয়োগ করা যায়। যেমন– সাংবাদিক সাহেব এসেছেন।
৪. পারিভাষিক শব্দটিকে বাক্যের অপরাপর শব্দের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হয়। যেমন– বিল এখনও উঠানো হয়নি।
৫. যদি মূল ভাষায় প্রতিশব্দ প্রচলিত না থাকে তবে পারিভাষিক শব্দ প্রয়োগ করা যায়। যেমন– গতকাল স্কুল খোলা ছিল।
নিচে কতকগুলো প্রয়োজনীয় ইংরেজি শব্দের বাংলা পরিভাষা দেয়া হল :
A
Abbreviation – সংক্ষেপ, সংক্ষেপণ।
Absconder – ফেরার, পলাতক।
Abolish – বিলোপ করা।
Absent – অনুপস্থিত।
Absence – অনুপস্থিতি।
Acid – অম্ল।
Act – আইন, অভিনয় করা।
Accept – গ্রহণ।
Account – হিসাব।
Acting – ভারপ্রাপ্ত, অভিনয়, ভান।
Address – ভাষণ, সম্ভাষণ।
Adage – প্রবাদ, প্রবচন।
Advocate – উকিল।
Aberration – বিচ্যুতি।
Absolute – পরম/খাঁটি/আসল।
Axis – অক্ষ।