উচ্চারণ রীতি কাকে বলে? বাংলা উচ্চারণের কয়েকটি নিয়ম লিখ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শব্দের যথাযথ উচ্চারণের নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে উচ্চারণ রীতি বলে। ভাষাতত্ত্ববিদ ও ব্যাকরণবিদ্গণ বাংলা ভাষার প্রতিটি শব্দের যথাযথ সঠিক উচ্চারণের জন্য কতকগুলো নিয়ম বা সূত্র প্রণয়ন করেছেন। এই নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে বলা হয় বাংলা ভাষার উচ্চারণনীতি।

বাংলা উচ্চারণের কয়েকটি নিয়ম নিচে তুলে ধরা হলো–

ক. শব্দের শুরুতে যদি অ থাকে এবং পরে যদি ই, ঈ, উ, ঊ, ক্ষ, জ্ঞ, য-ফলা বা ঋ-কার থাকে তাহলে অ-এর উচ্চারণ ও-এর উচ্চারণ ও-কারের মতো হয়। যেমন– অতি (ওতি), নদী (নোদি), তরু (তোরু), ময়ূর (মোয়ুর্), পক্ষ (পোকখো), যজ্ঞ (জোগগো), বন্য (বোননো), মসৃণ (মোসৃন্)।

খ. শব্দের আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণে ব-ফলা সংযুক্ত হলে সে ব-এর কোনো উচ্চারণ হয় না। যেমন– ত্বক (তক্), স্বাধিকার (শাধিকার্), ধ্বনি (ধোনি), স্বাগত (শাগতো) ইত্যাদি।

গ. শব্দের মধ্যে কিংবা শেষে ব-ফলা থাকলে সংযুক্ত বর্ণের উচ্চারণ দুইবার হয়ে থাকে। যেমন– বিশ্ব (বিশশো), বিদ্বান (বিদদান), পক্ব (পককো) ইত্যাদি।

ঘ. শব্দের আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণে ম-ফলা যুক্ত হলে সাধারণত তার কোনো উচ্চারণ হয় না। যেমন– স্মরণ (শঁরোন্), শ্মশান (শঁশান্), স্মারক (শাঁরোক্) ইত্যাদি