যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য, তাকে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন–
- পীত অম্বর যার = পীতাম্বর।
- পক্ব কেশ যার = পক্বকেশ।
- দৃঢ় প্রতিজ্ঞা যার = দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
- সমান উদর যার = সহোদর।
- সুন্দর হৃদয় যার = সুহৃদ।
- দশ আনন (মাথা) যার = দশানন।
- চরিত অর্থ যার = চরিতার্থ।
- কৃত বিদ্যা যার = কৃতবিদ্যা।
- প্রোষিত [প্রবাসী] ভর্তা [স্বামী] যার [স্ত্রী] = প্রোষিতভর্তৃকা ইত্যাদি।
তেমনি : মধ্যবর্তী, ঊর্ধ্ববাহু, মন্দভাগ্য, হতভাগ্য, হতবুদ্ধি, জিতেন্দ্রিয়, বিগতশ্রী, বিশালাক্ষী, স্বচ্ছসলিলা, নীলবাসনা, পঞ্চানন, ত্রিলোচনা, দীর্ঘকায়, সুধী, করিতকর্মা, লব্ধপ্রতিষ্ঠ, সমবয়সী।
অনেক সময় সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদটি বিশেষ্য হয়েও বিশেষণের মতো ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন–
- শশী ভূষণ যার = শশিভূষণ।
- ফণী ভূষণ যার = ফণিভূষণ।
- কৃত্তি [বাঘের ছাল] বাস যার = কৃত্তিবাস।
- নদী মাতা যার = নদীমাতৃক।
- কৃষি মাতা যার = কৃষিমাতৃক।
এরূপ : দিগম্বর, বিভূতিভূষণ, অহিভূষণ।
স্মরণীয় : ঈ-কারান্ত পুংলিঙ্গ শব্দ পূর্বপদে থাকলে সমাসবদ্ধ পদটিতে ঈ-কার ই-কার হয়। তবে ‘চণ্ডীদাস’ ও ‘চণ্ডিদাস’ উভয় রূপই প্রচলিত।