ধ্বনি হচ্ছে ভাষার মূল উপকরণ। কোন ভাষার উচ্চারিত শব্দকে খুব সূক্ষ্মভাবে ভাগ করলে বা বিশ্লেষণ করলে যে আওয়াজ বা শব্দ পাওয়া যায়, তাই ধ্বনি। অর্থাৎ, ভাব প্রকাশক আওয়াজ বা শব্দকে ধ্বনি বলে।
ভাষা বিজ্ঞানী ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কোন ভাষার উচ্চারিত শব্দকে (Word) বিশ্লেষণ করলে আমরা কতকগুলো ধ্বনি পাই।”
ধ্বনি ও ভাষা বিজ্ঞানী অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, “শ্বাস বায়ুর বহির্গমণকালে গলনালি ও মুখবিবরের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সংঘর্ষের স্থান, রূপ ও পরিমাণ অনুসারে বিভিন্ন ধ্বনি উৎপন্ন হয়। তার মধ্যে অর্থবোধক ধ্বনিগুলোই মানুষের বিভিন্ন ভাষার বাগধ্বনি। ফুসফুস তাড়িত বাতাসের নির্গমনের ফলেই সাধারণত ধ্বনি সৃষ্টি হয়।” যেমন– অ, আ, ই, ক, খ, গ ইত্যাদি।
ধ্বনির প্রকারভেদ
ধ্বনি প্রধানত দুই প্রকার। যথা–
১. স্বরধ্বনি
২. ব্যঞ্জনধ্বনি।
- স্বরধ্বনি : যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখের ভিতরে কোনো জায়গায় বাধা পায় না তাদেরকে স্বরধ্বনি বলে। যেমন– অ, আ, ই, ঈ ইত্যাদি।
- ব্যঞ্জনধ্বনি : যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখের ভিতরে কোথাও না কোথাও বাধা পায় তাদেরকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন– ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি।