স্থানীয় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে যে বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয় তাকে স্থানীয় বায়ু বলে। যেমন : উপত্যকা ও পার্বত্য বায়ু।
আয়ন বায়ু ও পশ্চিমা বায়ুর পার্থক্য কি?
পৃথিবীর বায়ুচাপ বলয়গুলির তারতম্য হেতু ভূপৃষ্ঠের কোনো নির্দিষ্ট স্থান আর একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের দিকে সারাবছর ধরে নিয়মিত ভাবে প্রবাহিত বায়ুকে নিয়ত বায়ু বলে। ভূপৃষ্ঠে প্রবাহিত নিয়ত বায়ুগুলিকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়, যথা- আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও মেরু বায়ু। এখানে আয়ন বায়ু ও পশ্চিমা বায়ুর মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্যগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আয়ন বায়ু ও পশ্চিমা বায়ুর পার্থক্য হলো-
- কর্কটীয় ওমা করিয়া উচ্চচাপ বলয় থেকে সারা বছর ধরে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় দিকে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে আয়ন বায়ু বলে। অপরদিকে, কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে সারাবছর সুমেরু ও কুমেরু বৃত্ত নিম্নচাপ বলয় দিকে নিয়মিতভাবে প্রবাহিত বায়ু কে পশ্চিমা বায়ু বলে।
- 0° থেকে 30 ডিগ্রী উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে আয়ন বায়ু প্রবাহিত হয়ে থাকে। অপরদিকে, 30° থেকে 60 ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চল পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত হয়।
- আয়ন বায়ু উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। কিন্তু, পশ্চিমা বায়ু উত্তর গোলার্ধে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
- আয়ন বায়ু বাণিজ্য বায়ু নামে পরিচিত। আর পশ্চিমা বায়ু কে প্রত্যয়ন বায়ু বলা হয়।
- আয়ন বায়ুর প্রভাবে মহাদেশ গুলির পূর্ব অংশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় কিন্তু পশ্চিম অংশে বৃষ্টিপাতের অভাবে মরুভূমি সৃষ্টি হয়। অপরদিকে, পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে দেশগুলির পশ্চিম দিকে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।