সমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে?
যে ক্রিয়াপদের দ্বারা বাক্যের অর্থ বা ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। সমাপিকা ক্রিয়াপদের দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ বা সমাপ্ত হয়। যেমন– আমি মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ব। আমরা সকাল দশটায় স্কুলে যাই।
ওপরের দুটি বাক্যে ক্রিয়াপদের দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পেয়েছে; অর্থগত কোনো অপূর্ণতা নেই। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ক্রিয়াপদই সমাপিকা ক্রিয়া।
অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে?
যে ক্রিয়াপদের দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন– আমি মসজিদে গিয়ে……..। আমরা সকাল দশটায়…..।
বাক্যে অসমাপিকা ক্রিয়া থাকতেও পারে, না-ও পারে।
সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য কি?
সমাপিকা ক্রিয়া
- যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে৷
- সমাপিকা ক্রিয়া বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করে।
- সমাপিকা ক্রিয়া অন্য ক্রিয়ার সাহায্য ছাড়াই বাক্য পূর্ণ করে।
- পুরুষভেদে সমাপিকা ক্রিয়ার রূপভেদ হয়।
- সাধারণত অ, ছে, এছ, ল, এছিল, ব ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়ে সমাপিক ক্রিয়া গঠিত হয়।
- সমাপিকা ক্রিয়া বাক্যের শেষে বসে।
- উদাহরণ : সাজিদ বই পড়ে।
অসমাপিকা ক্রিয়া
- যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।
- অসমাপিকা ক্রিয়া বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে পারে না।
- অসমাপিকা ক্রিয়া অন্যকোন ক্রিয়ার সাহায্য ছাড়া বাক্য পূর্ণ করতে পারে না।
- অসমাপিকা ক্রিয়ার কোনো রূপভেদ হয় না।
- ধাতুর পরে এ, তে, লে ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয়ে অসমাপিকা ক্রিয়া গঠিত হয়।
- অসমাপিকা ক্রিয়া সমাপিকা ক্রিয়ার পূর্বে বসে।
- উদাহরণ : সাজিদ বই।