কোন পরিবাহকের যে কোন প্রস্থচ্ছেদ এর মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয় তাকে তড়িৎ প্রবাহ বলে।
তড়িৎ প্রবাহ কত প্রকার ও কি কি?
তড়িৎ প্রবাহ দুই প্রকার- (ক) অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা সমপ্রবাহ বা একমুখী প্রবাহ এবং (খ) পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা পরিবর্তী প্রবাহ।
(ক) অপর্যায়বৃত্ত বা একমুখী বা ডিসি প্রবাহ
যখন সময়ের সাথে সাধারণত তড়িৎ প্রবাহের দিকের কোনো পরিবর্তন না ঘটে, অর্থাৎ যে তড়িৎ প্রবাহ সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয়, সেই প্রবাহকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে। তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারি থেকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ পাওয়া যায়। আবার ডিসি জেনারেটরের সাহায্যেও এই প্রকার তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন করা যায়।
(খ) পর্যায়বৃত্ত বা এসি প্রবাহ
যখন নির্দিষ্ট সময় পরপর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়, সেই তড়িৎ প্রবাহকে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে। বর্তমান বিশ্বের সকল দেশের তড়িৎ প্রবাহই পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ। এর কারণ তুলনামূলকভাবে এটি উৎপন্ন ও সরবরাহ করা সহজ এবং সাশ্রয়ী। পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস জেনারেটর বা ডায়নামো।
দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে জেনারেটরের সাহায্যে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ উৎপন্ন করা হয়। পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন দেশভেদে বিভিন্ন হয়। যেমন- বাংলাদেশে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে পঞ্চাশবার এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সেকেন্ডে ষাটবার দিক পরিবর্তন করে।
তড়িৎ প্রবাহ কেন উৎপন্ন হয়?
তড়িৎ প্রবাহ হয় তড়িতক্ষেত্র বা বর্তনীর দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্যের কারণে। দুই বিন্দুর মধ্যে বিভব পার্থক্য থাকলে ঐ বিন্দুদ্বয়ে মুক্ত ইলেকট্রনের ঘনত্বের তারতম্য থাকে। ইলেকট্রনসমূহ সকলে একই ধরনের (ঋণাত্মক) আধানবিশিষ্ট হওয়ায় পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং এই বিকর্ষণের ফলে বেশি ঘনত্বের অঞ্চল হতে কম ঘনত্বের অঞ্চলে ইলেকট্রনসমূহ প্রবাহের দ্বারা বিদ্যুৎপ্রবাহের সূত্রপাত ঘটে।
এখানে যা শিখলাম-
তড়িৎ প্রবাহ কত প্রকার ও কি কি?; অপর্যায়বৃত্ত বা একমুখী বা ডিসি প্রবাহ কাকে বলে?; অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস কি?; কোন কোষ থেকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ পাওয়া যায়?; পর্যায়বৃত্ত বা এসি প্রবাহ কাকে বলে?; পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস কোনটি?; বাংলাদেশে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে কতবার দিক পরিবর্তন করে?; যুক্তরাষ্ট্রে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে কতবার দিক পরিবর্তন করে?