অন্তর্হতি : পদের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ হলে তাকে অন্তর্হতি বলে। যেমন– ফলাহার > ফলার, আলাহিদা > আলাদা, ফাল্গুন > ফাগুন ইত্যাদি।
অভিশ্রুতি : অপিনিহিত অথবা বিপর্যস্ত স্বরধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সাথে মিলে গেলে এবং তদনুসারে পরবর্তী স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে তাকে অভিশ্রুতি বলে। যেমন– ‘করিয়া’ থেকে অপিনিহিতির ফলে ‘কইরিয়া’ কিংবা বিপর্যয়ের ফলে ‘কইরা’ থেকে অভিশ্রুতিজাত ‘করে’। এরূপ– শুনিয়া > শুনে, বলিয়া > বলে, আসিয়া > এসে, গাছুয়া > গেছো, বানিয়া > বেনে, মাছুয়া > মেছো, হাটুয়া > হেটো ইত্যাদি।
অপিনিহিতি : শব্দের মধ্যে ই বা উ থাকলে তাকে আগে এনে উচ্চারণ করলে কখনো কখনো উচ্চারণে অনেক সুবিধা হয়। উচ্চারণের এ রীতিকে অপিনিহিত বলে। যেমন– রাখিয়া > রাইখ্যা, জালিয়া > জাইল্যা, আজি > আইজ, বাচ্য > বাইচ্য, চারি > চাইর, বাক্য > বাইক্য, চলিয়া > চইল্যা, করিয়া > কইরা, গাঁতিত > গাঁইতি ইত্যাদি।
অসমীকরণ : একই স্বরের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্যে মাঝখানে যখন একটি স্বরধ্বনি যুক্ত হয় তখন তাকে অসমীকরণ বলে। যেমন– ধপ + ধপ > ধপাধপ, শপ + শপ > শপাশপ, ঝপ + ঝপ > ঝপাঝপ, টপ + টপ > টপাটপ, চপ + চপ > চপাচপ ইত্যাদি।